কাটোয়ায় সভা। নিজস্ব চিত্র
‘আগামী ছ’মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল’—মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির অদূরে, দক্ষিণ কলকাতার কিছু এলাকায় এই বার্তা লেখা ব্যানার ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে। শনিবার বিকেলে কাটোয়া শহরের সংহতিমঞ্চে টিএমসিপি’র প্রতিষ্ঠা দিবস উদ্যাপনের প্রস্তুতিসভায় সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য‘নতুন তৃণমূল’ সম্পর্কে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন।
তৃণাঙ্কুর দাবি করেন, ‘‘আগামী ছ’মাসের মধ্যে উন্নততম তৃণমূল আসতে চলেছে। নতুন তৃণমূলের অর্থ উন্নততর থেকে উন্নততম দল হওয়া। দলনেত্রী বারবার বলছেন, নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদেরও সে ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। এটাই নতুন তৃণমূল।’’ ‘নতুন তৃণমূলে’ নবীন প্রজন্মের নেতারা বেশি গুরুত্ব পাবেন, দলের ছাত্রনেতাদের এই বার্তা দিতেই তৃণাঙ্কুর ওই মন্তব্য করেছেন, অনুমান জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের।
টিএমসিপি-র সভায় বক্তৃতা করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতার প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে রবীন্দ্রনাথ বলেন, “দুর্নীতি-ইস্যুতে আগে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা উচিত। কারণ, উনি তৃণমূলে থাকাকালীন মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক ছিলেন। সীমান্তে পাহারায় থাকে কেন্দ্রের অধীনে থাকা বিএসএফ। অনুব্রতর বিরুদ্ধে বিজেপি ষড়ষন্ত্র করছে। এ সবে কোনও কাজ হবে না। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কিছু বোঝেন না।” বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘শুভেন্দুকে তৃণমূল ভয় পাচ্ছে। তাই আতঙ্ক থেকেই ওই কথা বলছে।’’
এ দিন সভায় বক্তৃতা করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা, সহ-সভাধিপতি দেবুটুডু, পূর্বস্থলীর বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়, এসবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy