Advertisement
E-Paper

দুষ্কর্ম রুখতে কুলটির দুই ফাঁড়িকে থানা করার তোড়জোড়

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেট গঠনের পরেই ঝাড়খণ্ড সীমানায় কুলটি থানার অন্তর্গত এই ফাঁড়ি দু’টি পূর্ণাঙ্গ থানায় উন্নীত করার আলোচনা শুরু হয়। বছরখানেক আগে পুলিশ কমিশনারেটের তরফে সেই প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:০৮
নিয়ামতপুর ও চৌরঙ্গির এই দুই ভবনেই থানা চালু হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। নিজস্ব চিত্র

নিয়ামতপুর ও চৌরঙ্গির এই দুই ভবনেই থানা চালু হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। নিজস্ব চিত্র

নিয়ামতপুর ও চৌরঙ্গি পুলিশ ফাঁড়িকে পূর্ণাঙ্গ থানায় উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সব কিছু ঠিকমতো চললে নতূন বছরেই থানা হিসেবে কাজ শুরু করবে এই ফাঁড়ি দু’টি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেট গঠনের পরেই ঝাড়খণ্ড সীমানায় কুলটি থানার অন্তর্গত এই ফাঁড়ি দু’টি পূর্ণাঙ্গ থানায় উন্নীত করার আলোচনা শুরু হয়। বছরখানেক আগে পুলিশ কমিশনারেটের তরফে সেই প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হয়। এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘‘ফাঁড়ি দু’টিকে থানা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, দ্রুত পূর্ণাঙ্গ থানা হয়ে যাবে ফাঁড়ি দু’টি।’’ পুলিশকর্তারা জানান, ঝাড়খণ্ড সীমানার এই অঞ্চলটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সেই নিরিখেই কুলটি থানা ভেঙে আরও দু’টি থানা করার পরিকল্পনা হয়। গুরুত্বের বিচারে তাই নিয়ামতপুর ও চৌরঙ্গি ফাঁড়িকে প্রথমে থানা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে নিয়ামতপুর ফাঁড়ি। ১৫টি মৌজায় বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ। এই ফাঁড়ি এলাকায় তিনটি যৌনপল্লি রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের আনাগোনা হয়। প্রায়ই এই সব এলাকা থেকে নানা দুষ্কর্মে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। তাই নিয়ামতপুর ফাঁড়ি অঞ্চলকে আরও বেশি নজরদারিতে রাখতে একটি পূর্ণাঙ্গ থানার পরিকাঠামোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন পুলিশকর্তারা।

চৌরঙ্গি ফাঁড়িটির আওতায় রয়েছে প্রায় সাড়ে বারো বর্গ কিলোমিটার এলাকা। ১২টি মৌজায় জনসংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। পুলিশকর্তারা জানান, এই এলাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি জায়গা সীমানার ডুবুরডিহি চেকপোস্ট ও ২ নম্বর জাতীয় সড়ক। পুলিশ কর্তারা জানান, প্রতিদিন ভিন্‌ রাজ্যের কয়েক হাজার পণ্যবাহী ট্রাক সীমানা পেরিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে চলাচল করে। তাই জাতীয় সড়ক ও সীমানা এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়াতে চৌরঙ্গি ফাঁড়িকে থানায় উন্নীত করা প্রয়োজন ছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে চৌরঙ্গি ফাঁড়িকে পুরনো জায়গা থেকে তুলে চিত্তরঞ্জন রোডে আনা হয়েছে। একটি দোতলা ভবন তৈরি হয়েছে। নিয়ামতপুর ফাঁড়িটিও আধুনিক ভাবে সাজার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্রবাবু জানান, ফাঁড়ি দু’টি থানায় উন্নীত হলে এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ছাড়াও জনমুখী নানা পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে পুলিশের আরও সুবিধা হবে।

Police Outpost Police Station Kulti Mischief
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy