প্রতীকী ছবি।
দামোদরের পাড়ে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পড়ে থাকা পর্যটন উন্নয়ন নিগমের বাংলো ‘রিভিয়েরা’ দুর্গাপুজোর আগেই খোলার আশ্বাস দিয়েছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। কিন্তু তা হয়নি। শেষমেশ, আজ, শনিবার বাংলোটি চালু হবে বলে ঠিক হয়েছে। তবে নাম বদলে তা হয়ে যাচ্ছে ‘দ্য দামোদর রিট্রিট’। উদ্বোধন করতে আসার কথা গৌতমবাবুর।
সত্তরের দশকে দুর্গাপুর স্টেশন থেকে সামান্য দূরে দামোদরের পাড়ে প্রকৃতির মাঝে বীরভানপুরে রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগম বাংলোটি তৈরি করে। দোতলা সেই বাংলোয় দু’জন, তিন জন ও চার জনের থাকার মতো ঘর রয়েছে। পর্যটকদের যাবতীয় সুযোগসুবিধার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। প্রথম দিকে পর্যটন দফতর নিজেই বাংলোটি চালাত। পরে তা ‘লিজ’ দেওয়া হয়। শহরের বিভিন্ন হোটেলের তুলনায় ভাড়াও কম ছিল এই বাংলোর। তাই শুধু পর্যটকেরা নন, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থাও নানা প্রয়োজনে বাংলো ভাড়া নিত।
পরের দিকে সিটি সেন্টার এলাকায় নতুন নতুন হোটেল গড়ে ওঠে। সিটি সেন্টারেই নিগমের অন্য একটি ‘মোটেল’ নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। চাহিদা কমতে থাকে রিভিয়েরা-র। বছর দশেক আগে থেকে সেটি ধুঁকতে শুরু করে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে জৌলুস হারায় বাংলোটি। শেষমেশ তাতে ঝাঁপ পড়ে। আগাছায় ভরে যায় বাংলো চত্বর। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত নামলে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজকর্মও শুরু হয় সেখানে।
পর্যটনমন্ত্রী গৌতমবাবু ২০১৭-য় দুর্গাপুরে এসে জানান, ‘রিভিয়েরা’র সংস্কার করে নতুন ভাবে চালুর পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কাজ শুরু হয়নি। গত জুন মাসে দুর্গাপুরে রাজ্য সরকারের হোটেল ম্যানেজমেন্ট কলেজের উদ্বোধনে এসে গৌতমবাবু ‘রিভিয়েরা’ পরিদর্শনে যান। তিনি জানান, ওই বাংলো সংস্কারের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। নিগমের ডিরেক্টরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি। দুর্গাপুজোর আগেই বাংলোটি চালু করার চেষ্টা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মন্ত্রীর পরিদর্শনের কিছু দিন পরেই বাংলোর সংস্কার কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি তা শেষ হয়েছে। নতুন রূপে সেজে উঠেছে বাংলোটি। বর্ষশেষের আমেজের মাঝেই বাংলোটি ফের চালু হওয়ার খবরে খুশি তাঁরা। নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যটকদের ‘রিভিয়েরা’র চেয়েও অনেক বেশি আধুনিক পরিষেবা দেবে ‘দ্য দামোদর রিট্রিট’। নিরাপত্তার কথা ভেবে বাংলোর বাইরে ও ভিতরে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা মাথায় রেখে জিম ও ব্যাডমিন্টন কোর্টও রয়েছে সেখানে। প্রকৃতির মাঝেই খাওয়া-দাওয়ার জন্য রয়েছে ‘গার্ডেন রেস্টুরেন্ট’-ও। বাংলো পরিচালনার দায়িত্বে থাকছে একটি বেসরকারি সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy