Advertisement
E-Paper

পাইপ বসানোয় বাধা, মারধরের অভিযোগ

নির্মীয়মাণ সার কারখানার জন্য পাইপলাইন বসানোর কাজ করতে গিয়ে কর্মীদের মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার কাঁকসার সিলামপুর গ্রামের ঘটনা। যদিও গ্রামবাসীদের পাল্টা অভিযোগ, কোনও রকম আলোচনা না করেই ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ গ্রামের রাস্তা কাটছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৫ ০১:০৫
গ্রামবাসীদের বাধায় এ ভাবেই বন্ধ হল কাজ।

গ্রামবাসীদের বাধায় এ ভাবেই বন্ধ হল কাজ।

নির্মীয়মাণ সার কারখানার জন্য পাইপলাইন বসানোর কাজ করতে গিয়ে কর্মীদের মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার কাঁকসার সিলামপুর গ্রামের ঘটনা। যদিও গ্রামবাসীদের পাল্টা অভিযোগ, কোনও রকম আলোচনা না করেই ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ গ্রামের রাস্তা কাটছিল।

প্রশাসনের সূত্রে জানানো হয়েছে, সার কারখানার বর্জ্য দামোদরে ফেলার জন্য সিলামপুর গ্রামের একটি অংশ দিয়ে পাইপলাইন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই কাজের জন্য এ দিন সকালে কারখানার বেশ কয়েকজন কর্মী সিলামপুর গ্রামে মাটি কাটার যন্ত্র ও ডাম্পার নিয়ে হাজির হন। কিন্তু গ্রামবাসীদের একাংশ তাঁদের কাজ করতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। আচমকা গ্রামবাসীদের কয়েকজন কারখানার কর্মীদের উপর চড়াও হন বলেও অভিযোগ। বেধড়ক মারধর করা হয় কয়েকজন কর্মীকেও। সঙ্গে থাকা মাটি কাটার যন্ত্র ও ডাম্পারগুলির কাচও ভেঙে দেওয়া হয়। কাঁকসা থানার পুলিশ এরপরেই লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিতে যায় বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের তরফে লাঠিচার্জের কথা স্বীকার করা হয়নি।

ভাঙচুর হওয়া ডাম্পার।

কারখানার তরফে দাবি করা হয়েছে, এ দিনের হামলার জেরে তাঁদের ২ জন আধিকারিক ও ২ ঠিকা কর্মী জখম হয়েছেন। ২ জনকে চিকিৎসার জন্য কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কারখানার ভাইস প্রেসিডেন্ট সুবালক সরকার পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘‘সেচ দফতর, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েতের কাছ থেকে ছাড়পত্র মেলার পরেই ওই এলাকায় পাইপলাইন বসানোর কাজ করতে যাওয়া হয়। তবে কয়েকজন বাধা দেওয়ায় এ দিন কাজ করা যায়নি।’’

যদিও গ্রামবাসীদের তরফে পাল্টা অভিযোগ, এ দিন গ্রামের ভিতর রাস্তা ও শ্মশান ঘাটেও মাটি কাটা চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ গড়াই, তরুণ আঁকুড়েরা অভিযোগ করেন, ‘‘মাটি কাটার জন্য কোনও রকম আলোচনা করা হয়নি। তাই এ দিন আমরা ওই কারখানার কর্মীদের মাটি না কাটতে অনুরোধ করি।’’ কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে গ্রামবাসীদের বলা হয়, স্থানীয় আমলা-জোড়া পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করেই কাজ করা হচ্ছে। যদিও গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের তরফে কোনও রকম আলোচনা করা হয়নি। জেলা পরিষদের সদস্য দেবদাস বক্সীর অভিযোগ, ‘‘কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি রয়েছে। উন্নয়নে বাধা দিতেই একদল লোক এ দিন কাজ বন্ধ করেছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তারাপদ আকুড়ের বাড়িও তাঁরা ঘেরাও করেন বলে শুনেছি।’’

কারখানা কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত কর্মীদের মারধর ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

—নিজস্ব চিত্র।

pipiline police factory silampur damodar river
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy