সৃষ্টিকর্মে ব্যস্ত সোমনাথ অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
বছরের পর বছর ধরে দুর্গাপুরের বড় বাজেটের পুজোগুলির থিম রূপায়ণের দায়িত্বে থাকেন একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিল্পকলার শিক্ষক সোমনাথ অধিকারী। এ বার করোনা-পরিস্থিতিতে সব বদলে গিয়েছে। তবে কাজ থেকে ছুটি নেননি শিল্পী সোমনাথবাবু। গত আড়াই মাস ধরে বাড়িতেই করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের গবেষণাকে ‘থিম’ ‘দুর্গা দুর্গতিনাশিনী’তে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তিনি।
দুর্গাপুরের ঝাণ্ডাবাগের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা সোমনাথবাবু। শিল্প-কলা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। জওহরলাল নেহরু রোডের একটি বেসরকারি ইংরেজিমাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। দুর্গাপুরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে তাঁর ‘থিম’ প্রশংসা পায় দর্শকদের। সরকারি ও বেসরকারি পুরস্কারও পেয়েছেন বহু বার। কিন্তু করোনার কারণে এ বার কোনও পুজোর সঙ্গে তিনি যুক্ত হননি। সোমনাথবাবু বলেন, ‘‘কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই চলছে বিশ্বজুড়ে। গবেষকরা ব্যস্ত এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে। আমার থিম ‘দুর্গা দুর্গতিনাশিনী’-তে গবেষকদের এই প্রচেষ্টাকেই তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’’
প্রায় দু’ফুট উঁচু ও দু’ফুট চওড়া মূর্তি তৈরির কাজ চলছে সোমনাথবাবুর বাড়িতে। সেখানে দেবীর পুরো সংসার তো বটেই, অসুরও থাকছেন। মূর্তি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ইঞ্জেকশনের অ্যাম্পুল, ওষুধের কন্টেনার, মেডিসিন গ্লাস, হোমিওপ্যাথিক ওষুধের অ্যাম্পুল, চশমার কাচ প্রভৃতি। তিনটি চালা থাকছে মূর্তিতে। প্রতিটি চালা তৈরি হচ্ছে ওষুধের একটি করে বড় বোতল এবং তার উপরে বিশ্বের মানচিত্র আঁকা একটি করে গ্লোব দিয়ে। করোনা যে বিশ্বজুড়ে অতিমারির রূপ নিয়েছে, সেই বার্তা দিতেই গ্লোবের ব্যবহার বলে জানালেন শিল্পী।এই সমস্ত মেডিক্যাল সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে গিয়ে হাত কেটেছে কয়েকবার। তবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নন শিল্পী। তাঁর প্রার্থনা, গবেষকেরা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সাফল্য পান। পাশাপাশি, দেবীর আশীর্বাদে করোনা-মুক্ত হোক বিশ্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy