Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Santanu Ghosh

‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার জেলার দুই শিক্ষককে

আদতে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী শান্তনুবাবু জানান, প্রায় ১৯ বছরের কর্মজীবনে এখনও পর্যন্ত এটাই তাঁর কাছে সেরা সম্মান।

বাঁ দিকে, শান্তনু ঘোষ। ডান দিকে, কাজী নিজামউদ্দিন। নিজস্ব চিত্র

বাঁ দিকে, শান্তনু ঘোষ। ডান দিকে, কাজী নিজামউদ্দিন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল ও দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৩৬
Share: Save:

শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন পশ্চিম বর্ধমানের দুই শিক্ষক। আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তথা অঙ্কের শিক্ষক শান্তনু ঘোষ এবং দুর্গাপুরের বিজড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজী নিজামউদ্দিন রাজ্য সরকারের এই সম্মান পাচ্ছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষক দিবসের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে এই পুরস্কার নেওয়ার কথা তাঁদের।

আদতে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী শান্তনুবাবু জানান, প্রায় ১৯ বছরের কর্মজীবনে এখনও পর্যন্ত এটাই তাঁর কাছে সেরা সম্মান। তিনি বলেন, ‘‘কেন আমাকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে, তা উচ্চ শিক্ষা দফতরের বিচার্য বিষয়। আমি আপ্লুত।’’ কলকাতার ভবানীপুর কলেজে প্রায় ১৪ বছর শিক্ষকতা করার পরে ২০১৫ সালে তিনি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। গত আড়াই বছর রেজিস্ট্রার পদে রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে শান্তনুবাবুর বিষয়ে নানা তথ্য চাওয়া হচ্ছিল। তবে তার কারণ জানানো হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যোগ্য হিসেবেই এই সম্মান পাচ্ছেন শান্তনুবাবু।’’ স্বামীর এই স্বীকৃতির খবরে খুশি শান্তনুবাবুর স্ত্রী কল্যাণী ঘোষ।

দুর্গাপুরের বিজড়া হাইস্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও নানা সামাজিক কর্মসূচিতে তাঁর ভূমিকার জন্য পুরস্কৃত হচ্ছেন বলে ধারণা প্রধান শিক্ষক কাজী নিজামউদ্দিনের। স্কুল সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েই শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা বাড়ানোয় উদ্যোগী হন তিনি। ২০০৩ সালে স্কুলে রাজ্য কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দুর্গাপুরের একটি সংস্থার সহায়তায় বাংলায় ‘কম্পিউটার এডেড লার্নিং’ ব্যবস্থা শুরু করেন। ২০০৫ সালে স্কুলে প্রেক্ষাগৃহ গড়ে ওঠে। ২০১০ সালে বৃত্তিমূলক শিক্ষা চালু হয়। ২০১৮ সালে স্কুলে আর্ট গ্যালারি গড়া হয়।

এ ছাড়া, বৃক্ষরোপণ, কিচেন গার্ডেন, প্লাস্টিক ও ফেলে দেওয়া সামগ্রীর যথাযথ ব্যবহার, পরিবেশ আন্দোলনে যোগ, শহরের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে ‘দুর্গাপুর গ্রিন ভলান্টিয়ার্স’ গঠনে ভূমিকা, এলাকার দুঃস্থ পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানো-সহ নানা কর্মসূচিতে যুক্ত থেকেছেন নিজামউদ্দিন। ২০১৬ সালে অবিভক্ত বর্ধমান জেলায় ‘অ্যাকাডেমিক এক্সেলেন্স’ পুরস্কার, ২০১৮ সালে নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার, ২০১৯ সালে শিশুমিত্র পুরস্কার পায় তাঁর স্কুল। রবিবার শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাওয়ার খবর পেয়ে নিজামউদ্দিন বলেন, ‘‘এই পুরস্কার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE