Advertisement
০২ মে ২০২৪

আসানসোলে বাবুলকে কালো পতাকা, অশান্তি

‘কালো টাকা বিরোধী দিবস’— এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে গোটা দেশের মতো বুধবার আসানসোলেও সভার আয়োজন করে বিজেপি।

সভায়: আসানসোলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

সভায়: আসানসোলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৭ ০১:২০
Share: Save:

কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বর্ষপূর্তি। আর তাকে কেন্দ্র করে দেশব্যপী কর্মসূচি বিজেপি-র। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই গোলমাল বাধল আসানসোলে। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের উপস্থিতিতে বিজেপি-কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি বাধে।

‘কালো টাকা বিরোধী দিবস’— এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে গোটা দেশের মতো বুধবার আসানসোলেও সভার আয়োজন করে বিজেপি। সভাস্থল, আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ড এলাকা। সেখানে নোট বাতিলের সাফল্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে যোগ দিয়ে একই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বাবুলের বক্তব্য চলাকালীনই সভামঞ্চের অদূরে জনা ২৫ কংগ্রেস কর্মী হাতে কালো পতাকা, বুকে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত বিরোধী প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে হাজির হন। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রাণী মিশ্র। অভিযোগ, বাবুলকে লক্ষ করে কালো পতাকা দেখাতে থাকেন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেসের দাবি, সেই সময়েই বাবুল মঞ্চ থেকেই বলেন, ‘‘আমাকে নয়, কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কালো পতাকা দেখান। কারণ তাঁরা দুর্নীতিতে জড়িত।’’ এর পরেই শুরু হয় গোলমাল। তখনই প্রায় আড়াইশো বিজেপি সদস্য-কর্মী কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের লক্ষ করে তেড়ে আসেন বলে অভিযোগ। বাধে ধস্তাধস্তি। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ প্রায় আধ ঘণ্টা বাদে পরিস্থিতির সামাল দেয়।

এই ঘটনার পরে বাবুল বলেন, ‘‘নোট বাতিলের সাফল্যের পরে কংগ্রেসের কোনও নৈতিক অধিকার নেই কালো পতাকা দেখানোর। বিজেপি-র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অশান্তি বাধাতে প্ররোচনা দিয়েছে কংগ্রেস।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ইন্দ্রাণীদেবী পাল্টা বলেন, ‘‘আমরা আমাদের মতো করে কর্মসূচি চালাচ্ছিলাম। কারণ আমরা মনে করি, দেশের অর্থনীতির জন্য মোটেও ভাল কিছু করেনি নোট বাতিল। উল্টে মানুষের দুর্ভোগ হয়েছে। এ দিন প্ররোচনা ছাড়াই বিজেপি হামলা চালায়।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই দলের গোলমালের জেরে শহরের প্রধান কেন্দ্র সিটি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আধ ঘণ্টার জন্য যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ শহরবাসীর একাংশ। তাঁদেরই বেশ কয়েক জনকে বলতে শোনা যায়, এমন গোলমালের জেরে ভোগান্তি মানা যায় না। গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আরও বড় বিপত্তি ঘটতে পারত বলে তাঁদের আশঙ্কা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE