দলের ব্লক সভাপতি বদলের পর থেকে হাওয়া গরম হতে শুরু করেছিল। বাধছিল গোলমালও। রবিবার তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি চরমে উঠল জামুড়িয়ায়। পাথরচূড় গ্রামে সংঘর্ষে মোট পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দু’পক্ষের নেতাদের দাবি। যদিও পুলিশ জানায়, কেউ গুলিবিদ্ধ হয়নি। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফেও জানানো হয়, সংঘর্ষে আহত পাঁচ জনকে ভর্তি করানো হয়েছিল। তবে তাঁদের কারও গুলি লাগেনি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভা ভোটে জামুড়িয়া কেন্দ্র থেকে হেরে যান দলের আসানসোল জেলা সভাপিত ভি শিবদাসন। সেই হারের কারণ হিসেবে দলের অন্দরে উঠে আসে গোষ্ঠীকোন্দলের ব্যাখ্যা। উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশে শিল্পাঞ্চলের নানা কমিটির মতো জামুড়িয়ার দু’টি ব্লক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। তার পরে এলাকায় দলের নানা সভাতেও ডাক পাচ্ছিলেন না আগের ব্লক সভাপতি-সহ কিছু নেতা। সপ্তাহখানেক আগে উচ্চ নেতৃত্বের অনুমোদন হয়ে আসার পরে শিল্পাঞ্চলের নতুন ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা হয়। জামুড়িয়ার দু’টি ব্লকেই নতুন সভাপতি বাছা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামুড়িয়া ২ ব্লকে তাপস চক্রবর্তীকে সরিয়ে মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায়কে সভাপতি করার পর থেকেই গোলমাল শুরু হয়েছে। তাপসবাবুর অনুগামী কর্মীদের অভিযোগ, মুকুলবাবুর গোষ্ঠীর কিছু লোকজন এলাকায় ঘুরে-ঘুরে হুমকি দেওয়া শুরু করে। তাপসবাবুর যেখানে বাড়ি, সেই হিজলগড়ায় একটি ক্লাব ও গ্রন্থাগার পরিচালনার দায়িত্ব দখল করে নেওয়া হয়। একটি কারখানার জলপ্রকল্পের পাইপলাইন পাতা নিয়ে পাথরচূড় গ্রামের বাসিন্দারা আপত্তি তুলেছিলেন। আগে এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করে দিতে হবে, কারাখানা কর্তৃপক্ষকে জানানো গ্রামবাসীর একাংশের এই দাবি তাঁরা সমর্থন করেছিলেন বলে তাপস-অনুগামীদের দাবি। তাঁদের অভিযোগ, মুকুল-ঘনিষ্ঠ কর্মীরা কারখানা কর্তৃপক্ষের পাশে দাঁড়ানোর নামে দলেরই কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছেন। এ সব নিয়েই গোলমাল পাকছিল।