পড়ে আছে ভাঙা কম্পিউটার। —নিজস্ব চিত্র।
বন্যা ত্রাণে দলবাজির বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দিতে এসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুর আড়াইটে থেকে আউশগ্রাম ২ ব্লক অফিসে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির। পরে আউশগ্রাম থানায় যুগ্ম বিডিও বিপ্লব দত্ত অভিযোগও দায়ের করেন। সিপিএম নেতৃত্বের যদিও দাবি, কোনও ভাঙচুর হয়নি।
ব্লক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন স্মারকলিপি দেওয়ার নাম করে কয়েকশো লোক ভিতরে ঢুকে পড়ে। তারপর কাঁচের জানলা, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর শুরু করে। দফতরের তিনটি কম্পিউটারও আছড়ে ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলির অভিযোগ, “সিপিএমের লোকেরা একের পর এক সম্পত্তি নষ্ট করছে, আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখেছে পুলিশ। ওই সব পুলিশের বিরুদ্ধে উপর মহলে অভিযোগ জানাব।” যদিও পুলিশের এক কর্তার দাবি, “হাজার খানেক মানুষ তাণ্ডব চালিয়েছেন, সেখানে কয়েকজন পুলিশ কী ভাবে তাঁদের আটকাবে? তবে তাঁদের আটকাতে প্রাথমিক ভাবে একটা চেষ্টা করা উচিত ছিল।” পুলিশ জানিয়েছে, বিডিও এ দিন স্মারকলিপি নেবেন বলে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। সেই মতো সিপিএম দুপুরে স্মারকলিপি দিতে আসেন। কিন্তু বিডিও তখন দফতরে ছিলেন না। সিপিএমের নেতাদের দাবি, তাঁরা জানতে পারেন, দুপুর বেলাতেই বিডিও দফতর ছেড়ে চলে গিয়েছেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও বিডিও না আসায়, অন্য আধিকারিকদের স্মারকলিপি জমা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে সিপিএম নেতারা। কিন্তু আধিকারিকেরা স্মারকলিপি নিতে অস্বীকার করেন। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সিপিএম কর্মী সমর্থকেরা। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অচিন্ত্য মজুমদার বলেন, “তখন মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। কিন্তু কোনও ভাঙচুর হয়নি।”
বর্ধমানের মহকুমাশাসক (সদর) অরুণ রায় বলেন, “স্মারকলিপি দিতে এসে ব্লক দফতরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।” আর ওই বিডিওকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy