মরিচকোটা গ্রামে। নিজস্ব চিত্র
দু’জায়গায় জমি ভরাটের কাজ বন্ধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বুধবার আসানসোল দক্ষিণ ও উত্তর থানার যথাক্রমে কালীপাহাড়ি ও চন্দ্রচূড় মন্দির লাগোয়া এলাকার ঘটনা। বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশও। তদন্তকারীরা জানান, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে জমি সমতল করার কাজ করা বেশ কিছু যন্ত্রও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীপাহাড়ি ও চন্দ্রচূড় মন্দির লাগোয়া মরিচকোটা গ্রামের বিস্তীর্ণ জমি সমতলের কাজ চলার অভিযোগ করেন বাসিন্দারা। অভিযোগ ওঠে, দু’জায়গাতেই কয়েকটি পুকুরও ভরাট করা হচ্ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে মরিচকোটায় যাঁরা জমি সমতল ও ভরাটের কাজ করছিলেন, তাঁদের কাছে গ্রামবাসীর একাংশ জানতে চান, কে বা কারা কী ভাবে এই কাজ করাচ্ছেন। গ্রামবাসীর তরফে অনুনয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘বারবার প্রশ্ন করেও কোনও সদুত্তর পাইনি আমরা। এর পরেই আমরা কাজ বন্ধ করে পুলিশে খবর দিই।’’ কিছুক্ষণের মধ্যে গ্রামে পৌঁছয় কন্যাপুর ফাঁড়ির পুলিশ। কাজ বন্ধ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে মালিকপক্ষকে থানায় দেখা করতে বলা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিনই কালীপাহাড়িতেও একই অভিযোগে কাজ বন্ধ রেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেন। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে যান পুলিশকর্মীরা। আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয়কুমার ঠাকুর বলেন, ‘‘গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে।’’
ঘটনাচক্রে, আসানসোল উত্তর থানা এলাকায় জমি-মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ নতুন নয়। বিধানসভা ভোটের আগে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকও। সম্প্রতি আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনেও ‘জমি-মাফিয়াদের’ বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার কথা জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে তিনি বুধবার সরব হন ‘হুল দিবসের’ এক অনুষ্ঠানেও। সেখানে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছিলেন, জমি-দখলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আসানসোল উত্তর থানায় বিশেষ সেল তৈরি রয়েছে।
বুধবার দু’টি ঘটনার তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, আসানসোলের এক ‘ব্যবসায়ী’ এর সঙ্গে জড়িত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দাদের এ-ও অভিযোগ, ‘জমি-মাফিয়ারা’ অনেক সময়েই জোর করে বা ভয় দেখিয়ে গ্রামবাসীর থেকে জলের দরে জমি কিনে নিজেদের মতো ব্যবহার করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy