Advertisement
E-Paper

বালির গাড়ি আটকাতে রাস্তায় খুঁটি

কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেআইনি ভাবে খাদান তৈরি করেছে। হাবাসপুর এলাকায় যন্ত্র দিয়ে বালি তোলা হচ্ছে। দামোদরের উপরে বাঁধ কেটে রাস্তা পর্যন্ত তৈরি করে নিয়েছে পাচারকারীরা। ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, বিএলএলআরও-কে চিঠি পাঠালেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:২০
খুঁটি পুঁতে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে পতাকা। জামালপুরে। নিজস্ব চিত্র

খুঁটি পুঁতে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে পতাকা। জামালপুরে। নিজস্ব চিত্র

দিন-রাত বালির গাড়ি যাতায়াতের জেরে গ্রামের মানুষ রাস্তায় হাঁটতে পারছেন না। দামোদরের উপর মশাগ্রাম-বাঁকুড়া (বিডিআর) রেলসেতুর কাছেও বালি কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বারবার চিঠি পাঠানোর পরেও প্রশাসন বেআইনি বালি খাদান বন্ধে উদ্যোগী হয়নি, দাবি এলাকাবাসীর। শেষে বেআইনি বালিঘাট যাওয়ার রাস্তায় খুঁটি ও তৃণমূলের পতাকা পুঁতে দিয়েছেন জামালপুরের দক্ষিণ সারাংপুরের বাসিন্দারা। রবিবার থেকে ওই বেআইনি ঘাটে বালির গাড়ির উৎপাত বন্ধ হয়েছে বলে এলাকাবাসীর একাংশের দাবি।

অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) শশীভূষণ চৌধুরী বলেন, ‘‘ওই এলাকা পরিদর্শনের জন্য একটি দল পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ ওই এলাকার পাঁচরা পঞ্চায়েতের তৃণমূলের দুই সদস্য বিবেকানন্দ পাঁজা ও রামেশ্বর টুডু জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছেন, এলাকায় বেশ কয়েকটি বালি খাদান রয়েছে। বৈধ খাদানগুলি নিয়ে তাঁদের অভিযোগ নেই। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেআইনি ভাবে খাদান তৈরি করেছে। হাবাসপুর এলাকায় যন্ত্র দিয়ে বালি তোলা হচ্ছে। দামোদরের উপরে বাঁধ কেটে রাস্তা পর্যন্ত তৈরি করে নিয়েছে পাচারকারীরা। ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, বিএলএলআরও-কে চিঠি পাঠালেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়নি।

বিবেকানন্দবাবু দাবি করেন, ‘‘গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে আমাদেরই পথে নামতে হয়েছে। বালির গাড়ি যাওয়ার রাস্তায় খুঁটি পুঁতে দেওয়া হয়েছে। তার উপরে দলের পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছি। রবিবার থেকে বালির গাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দামোদরের ঘাট থেকে চকদিঘি মোড় পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে প্রচুর বালি মজুত রয়েছে। তার জেরে যানজটে নাজেহাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করাও চিন্তার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিবেকানন্দবাবু অভিযোগ করেন, দামোদরের উপরে বিডিআর লাইন রয়েছে। সেতু থেকে ৩০০ মিটার পর্যন্ত বালি কাটা নিষিদ্ধ বলে রেল জানিয়েছে। তার পরেও সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে বালি তোলা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দক্ষিণ সারাংপুরে দামোদরে ৮-৯টি নৌকা সারা দিন জলের নীচ থেকে বালি তুলছে। তার পরে বালি নদীর পাড়ে রাখা হচ্ছে। সেখানে ৯-১০টি গাড়ি থাকে সব সময়। বালি ভর্তি করে বেপরোয়া ভাবে ছুটছে সেগুলি। পাঁচরা পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান অশোক দাসের ক্ষোভ, ‘‘যাচ্ছেতাই চলছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর বিভিন্ন জায়গাতে নির্দেশিকা নিয়ে নোটিস বোর্ড দিয়েছে। কিন্তু জামালপুরে সে সবের বালাই নেই। বন্যা হলে কী হবে, সেটাই চিন্তার!’’ বিএলএলআরও পার্থ ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘পরিদর্শনের পরে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। বেআইনি বালি খাদানের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’

Sand Mining Sand Lifting Illegal Illegal Sand Lifting Jamalpur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy