Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

খোলমুখ খনিতে জল, ডুবে সাত কোটির যন্ত্র

ইসিএলের কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার পরাশিয়া কোলিয়ারির এই খনির কর্তৃপক্ষ জানান, শনিবার দিনভর বৃষ্টির জেরে উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়। ওই দিনই রাত দেড়টা নাগাদ খনিতে জল ঢুকে যায়। এর জেরে কয়লা কাটার তিনটি যন্ত্র ও দু’টি ডাম্পার জলের তলায় রয়েছে বলে খবর।

সোনাচোরায়। নিজস্ব চিত্র

সোনাচোরায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৭ ০৩:১৮
Share: Save:

খনিতে জল ঢুকে ডুবে গিয়েছে বেশ কিছু যন্ত্রপাতি। বন্ধ রয়েছে উৎপাদনও। শনিবার গভীর রাতে জামুড়িয়ার সোনাচোরা খোলামুখ খনির ঘটনা। শ্রমিক নেতাদের দাবি, বর্ষার আগেভাগে ইসিএল ব্যবস্থা না নেওয়াতেই এই বিপত্তি ঘটেছে। ইসিএলের পাল্টা দাবি, এক সময়ে এলাকায় ব্যাপক অবৈধ খননের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।

ইসিএলের কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার পরাশিয়া কোলিয়ারির এই খনির কর্তৃপক্ষ জানান, শনিবার দিনভর বৃষ্টির জেরে উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়। ওই দিনই রাত দেড়টা নাগাদ খনিতে জল ঢুকে যায়। এর জেরে কয়লা কাটার তিনটি যন্ত্র ও দু’টি ডাম্পার জলের তলায় রয়েছে বলে খবর। খনির প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রসূন মুখোপাধ্যায় জানান, রবিবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় সাত কোটি টাকার সামগ্রী জলের তলায় রয়েছে। কাজ বন্ধ থাকায় কোনও খনিকর্মী ভূগর্ভে ছিলেন না। ফলে প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে।

তবে এই বিপত্তির কারণ নিয়ে খনি কর্তৃপক্ষের দিকেই আঙুল তুলেছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। সিটু নেতা মনোজ দত্তের অভিযোগ, “বর্ষার আগে আগাম ব্যবস্থা না নেওয়ায় জল দ্রুত বের করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় পাম্প রাখা হয়নি। তা ছাড়া জল যে পথে বের হবে, সেই নিকাশি নালাগুলিও সাফ করা হয়নি। এলাকায় অবৈধ খননের জেরে তৈরি হওয়া ফাটলগুলিও ভরাট করেনি ইসিএল।” স্থানীয় বাসিন্দা তথা জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি উদিপ সিংহের প্রশ্ন, “টানা বৃষ্টি হলেও ডাম্পার ও যন্ত্রগুলি নিরাপদ স্থানে রাখা গেল না কেন।’’ আইএনটিটিইউসি-র নেতা নয়ন গোপ জানান, ২০১৬-র ১৭ জুলাই এই খনিতে পাশেই থাকা সিঙ্গারণ নদীর জল ঢুকে গিয়ে প্রায় ছ’মাস কাজ বন্ধ ছিল। সেই সময়ে ডিরেক্টর জেনারেল অফ মাইন সেফটি নদীর পাড় বাঁধিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তা পালন করা হয়নি। জল বের করার দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হলেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ নয়নবাবুর।

ইসিএল-র সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় অবশ্য রবিবার জানিয়েছেন, আগে ওই এলাকায় অবৈধ খনন হয়েছে। তা আটকাতেই খোলামুখ খনি চালু করা হয়। নীলাদ্রিবাবুর দাবি, ‘‘অবৈধ খননের জেরে ভূগর্ভে থেকে যাওয়া ফাটল থেকেই জল উপরে উঠে এসেছে। জল বের করে খনি দ্রুত চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE