Advertisement
E-Paper

অন্য রাজ্য থেকে আসাদের খুঁজতে চিরুনি তল্লাশি

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আন্তঃরাজ্য তো বটেই জেলা-সীমানাও ‘সিল’ রয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২০ ০২:৫৪
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

ভিন রাজ্য থেকে গত সপ্তাহে জেলায় এসেছেন, এমন বাসিন্দাদের খুঁজে বার করতে ‘চিরুনি তল্লাশি’ শুরু করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। প্রশাসনের তরফে প্রতিটি থানা ও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আশাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই সব বাসিন্দাদের গৃহ-পর্যবেক্ষণে রাখা যাবে না। সরাসরি সরকারি ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আন্তঃরাজ্য তো বটেই জেলা-সীমানাও ‘সিল’ রয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরে। তার মধ্যেও ‘ফাঁক’ গলে নানা ভাবে বাড়ি ফিরেছেন ভিন্‌ রাজ্যে থাকা বাসিন্দারা। তাঁদের অধিকাংশকে ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ রাখা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের মধ্যে একটি বৈঠকে ঠিক হয়েছে, গত ৮ এপ্রিলের পরে, ভিন্‌ রাজ্য থেকে আসা বাসিন্দাদের নিয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। তাঁদের সরকারি ব্যবস্থাপনাতেই রাখতে হবে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেড়শো জন এমন মানুষের খোঁজ মিলেছে।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “করোনাভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে কি না দেখার জন্য আশাকর্মীরা ৮ তারিখ থেকে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। তা ছাড়া, তার আগে যাঁরা ভিন্‌ রাজ্য থেকে এসেছেন, তাঁদের সময়ের নিরিখে ঝুঁকি কম। তাই ওই তারিখ বেছে নেওয়া হয়েছে।’’ আশাকর্মীদের সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ারেরাও ওই বাসিন্দাদের খুঁজতে নেমেছেন। প্রশাসনের ওই কর্তার কথায়, “এই এক সপ্তাহের মধ্যে ভিন্‌ রাজ্য থেকে খুব কম লোক জেলায় ঢুকেছে। যাঁরা ঢুকেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই অত্যাবশক জিনিস নিয়ে এসেছেন। নানা কারণে তাঁরা থেকে গিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। তাঁদের খুঁজে বার করাটাই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমানে ভিন্‌ দেশ থেকে আসা কোনও বাসিন্দা আর ‘হোম কোয়রান্টিনে’ নেই। তবে ১৪ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও পর্যবেক্ষণে রয়েছে ১১৪ জন। আর ভিন্‌ রাজ্য থেকে আসা ২০,৮২৪ জন এখনও পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। শুক্রবারই নতুন করে ২৮ জনকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে স্বাস্থ্য দফতর। ২৩ জনকে কোয়ারান্টিন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বর্ধমানের কোভিড হাসপাতালে ১৭ জনকে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে ২২ জন রয়েছেন সেখানে। দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। এক জনের করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’, অন্য জনের রিপোর্ট এখনও আসেনি।

Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy