পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন দাখিলে বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল সিপিএম। তবুও এ বারের নির্বাচনে পূর্ব বর্ধমানে বহু আসনেF বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয় সুনিশ্চিত করে ফেলেছে শাসক তৃণমূল।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এ বার জেলায় ৬৭১টি গ্রাম পঞ্চায়েতর আসনে কোনও ভোট হবে না। পঞ্চায়েত সমিতির ৭৬টি আসনেও বিরোধী দলের কোনও প্রার্থী না থাকায় ভোট হচ্ছে না। মঙ্গলকোট, কেতুগ্রামের পাশাপাশি ভোট না হওয়ার তালিকায় বর্ধমান ১ ব্লকও রয়েছে। এই ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৬টি আসনে ভোট হচ্ছে না। এ ছাড়াও আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে ৫৮টি আসনে, মন্তেশ্বরে ৪৬টি, ভাতারে ৩৮টি, জামালপুরে ২৬টি, খণ্ডঘোষে ২৭টি এবং রায়না ১ ব্লকে ২১টি আসনে ভোট হচ্ছে না। পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটের পাশাপাশি আউশগ্রামে ৮টি আসনে এবং ভাতারের পাঁচটি আসনে ভোট হচ্ছে না। ভোট হচ্ছে না কাটোয়া ১ ব্লকে ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ১টি পঞ্চায়েত সমিতি আসনে। তবে কাটোয়া ২ ব্লকের সব আসনেই ভোট হবে।
জেলায় পঞ্চায়েতে ৪০১০টি আসনের মধ্যে সিপিএম ৩০৩৯টি আসনে আর পঞ্চায়েত সমিতির ৬৪০টি আসনের মধ্যে ৫৪৬টিতে সিপিএম মনোনয়ন জমা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনেক পিছনে রয়েছে বিজেপি। তারা পঞ্চায়েতে স্তরে ১৯৩৪টি আর সমিতিতে ৪০৯টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে। তবে এত কিছুর মধ্যেও গোঁজ প্রার্থীর বিষয়টি ভাবাচ্ছে শাসকদলকে। মনোনয়ন দাখিলের ক্ষেত্রে শাসকদলের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থেকে সিপিএম ও বিজেপি নেতৃত্ব সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন। জেলা সিপিএমের সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, ‘‘তৃণমূলের সন্ত্রাসের মধ্যেও আমরা এ বার মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম। সে জন্যে সিপিএম পঞ্চায়েত স্তরে ৮৫ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এ ছাড়াও সহযোগী দলেরা রয়েছে।’’
যদিও জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিরোধীরা যাতে ঠিক মতো মনোনয়ন দিতে পারে, তার জন্য তৃণমূলের নেতা-বিধায়করা তদারকি করেছেন। আসলে বিরোধীদের পাশে মানুষ নেই। সেটা আড়াল করতেই তারা শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মিথ্যা অভিযোগ তুলে মান বাঁচাচ্ছে।’’