E-Paper

সময়েই সংস্কার শেষ, ব্যারাজে আশ্বাস সচিবের

সেতুর উপরের পিচ খুঁড়ে ফেলে দিয়ে কংক্রিটের মেঝে বার করা হয়েছে। দু’টি গেটের জোড়গুলিতে কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ ০৮:৩৬
ব্যারাজে কাজ পরিদর্শনে কর্তারা।

ব্যারাজে কাজ পরিদর্শনে কর্তারা। নিজস্ব চিত্র।

আগামী ১৫ জুনের মধ্যে দুর্গাপুর ব্যারাজের সেতু সংস্কারের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে, জানালেন রাজ্যের সেচ দফতরের সচিব মণীশ জৈন। রবিবার ব্যারাজ পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, ‘‘ইঞ্জিনিয়ারদের নিরন্তর নজরদারিতে কাজ চলছে। ১৫ জুনের মধ্যেই কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।’’

প্রায় ৭০ বছরের পুরনো দুর্গাপুর ব্যারাজের সেতুর সংস্কারের কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। সে জন্য ব্যারাজের নীচে দামোদরের উপর দিয়ে প্রায় ১.২ কিলোমিটার লম্বা বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ১ মে থেকে ব্যারাজের উপর দিয়ে বাস, অ্যাম্বুল্যান্স, দমকল, সাইকেল যাতায়াত করছে। বাকি যানবাহন চলছে ব্যারাজের নীচের বিকল্প রাস্তা দিয়ে। তবে ডাম্পার, ট্রাক ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য রাস্তা দিয়ে। সে দিন থেকেই শুরু হয় সেতু সংস্কারের কাজ।

সেতুর উপরের পিচ খুঁড়ে ফেলে দিয়ে কংক্রিটের মেঝে বার করা হয়েছে। দু’টি গেটের জোড়গুলিতে কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হচ্ছে। এর পরে পিচের কাজ হচ্ছে। দুর্গাপুর থেকে বাঁকুড়ার দিকে যাওয়ার বাঁ দিকের লেনে পিচ দেওয়ার প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যে ১৭ নম্বর লকগেট পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি কাজও নির্ধারিত গতিতে এগোচ্ছে বলে জানান সেচ দফতরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আবহাওয়া প্রতিকূল হয়ে গেলে তখন কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। প্রাথমিক ভাবে, বর্ষা শুরুর আগে, অর্থাৎ ১৫ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে দিন-রাত এক করে কাজ করা হচ্ছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়। কারণ, বৃষ্টি হলে যেমন সেতুর উপরের কাজ ব্যাহত হবে, তেমনই নীচের অস্থায়ী রাস্তায় জমা জলের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে যাতায়াতে সমস্যা তৈরি হবে।

রবিবার দুপুরে ব্যারাজের সেতু সংস্কার পরিদর্শনে আসেন সেচ দফতরের সচিব মণীশ জৈন। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক (বাঁকুড়া) এন সিয়াদ, বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি, বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় এবং সেচ দফতরের আধিকারিকেরা। সেতুর উপরের কাজ দেখার পাশাপাশি, নীচে বিকল্প রাস্তার পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখেন সচিব। কাজের অগ্রগতি দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘অনেকগুলি বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে। বড় মাপের কাজ হচ্ছে। তাই বাড়তি সতর্কতা নিতে হচ্ছে। দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারেরা আছেন। তাঁদের নজরদারিতে কাজ চলছে। ১৫ জুনের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা চলছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Durgapur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy