Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Coal Mine

Coal mine: বন্ধ কয়লা উত্তোলন, শুরু অনশন

খনি বন্ধ নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মোর্চার তোলা অভিযোগ ঠিক নয়, দাবি খনির সিজিএম তরুণকুমার রায়ের।

রামনগরে অবস্থান মঞ্চে সোমবার।

রামনগরে অবস্থান মঞ্চে সোমবার। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কুলটি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৫৩
Share: Save:

দ্রুত কয়লা উত্তোলন শুরুর দাবিতে সোমবার থেকে সেলের পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির রামনগর কোলিয়ারির প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে অনশন-অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে ছ’টি শ্রমিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘সংযুক্ত মোর্চা’। সমস্যা মেটাতে মোর্চা নেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন আধিকারিকেরা। কিন্তু দিনের শেষে সমাধানের রাস্তা বেরোয়নি বলে কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

কোলিয়ারি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জুন মাস থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে রামনগর খনিতে। অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে স্থায়ী শ্রমিক-কর্মীরা বেতন পেলেও, কাজ হারিয়ে সমস্যায় পড়েছেন কম-বেশি পাঁচশো ঠিকা শ্রমিক। মোর্চার দাবি, কবে থেকে কয়লা উত্তোলন চালু করা হবে, তার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানাতে হবে। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষের তরফে তা জানানো সম্ভব নয় বলায় এ দিন আলোচনা ভেস্তে যায়। সিটু নেতা হারাধন ঘোষ বলেন, “খনি চালু না হওয়া পর্যন্ত অনশন অবস্থান চলবে।”

কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষের দাবি, সালানপুর ও লায়েকডিহি খোলামুখ খনিতে কয়লা উত্তোলনের কাজে লাগানো ঠিকা সংস্থাটির মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। নতুন কোনও সংস্থা আসেনি বলে কাজ বন্ধ আছে।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃত ভাবে নতুন ঠিকা সংস্থা নিয়োগ করছেন না। শুধু তাই নয়। ‘ইন্ডিকাটা’ ও ‘বেগুনিয়া’ ভূগর্ভস্থ খনির প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি হওয়ার পরেও, জমি অধিগ্রহণ করে তা চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। মোর্চার তরফে সিটু নেতা সুজিত ভট্টাচার্যের মন্তব্য, “সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেও, দু’টি ভূগর্ভস্থ খনি চালু না হওয়ায় এলাকার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে।” আইএনটিটিইউসি নেতা গণেশ ঘোষ ও আইএনটিইউসি নেতা অজয় পাল বলেন, “এলাকার স্বার্থে আমরা দ্রুত খনি চালু করার দাবি করছি।”

খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ইন্ডিকাটা’ ও ‘বেগুনিয়া’, এই দু’টি নতুন ভূগর্ভস্থ খনির প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘ইন্ডিকাটা’ প্রকল্পে প্রায় ১৫৯ মিলিয়ন টন উন্নতমানের কয়লা ও ‘বেগুনিয়া’ প্রকল্পে প্রায় ৬.৫৪ মিলিয়ন টন কয়লা মজুত আছে।
কর্তৃপক্ষ জানান, এই খনি দু’টিতে সুড়ঙ্গ পথ বানিয়ে মাটির গভীর থেকে কয়লা তোলা হবে। এ জন্য কিছু জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। সে
প্রক্রিয়া চলছে।

খনি বন্ধ নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মোর্চার তোলা অভিযোগ ঠিক নয়, দাবি খনির সিজিএম তরুণকুমার রায়ের। তিনি বলেন, “শ্রমিক নেতাদের সব দাবি নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টি দেখছেন। দ্রুত ইতিবাচক ফল মিলবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coal Mine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE