Advertisement
E-Paper

প্রতিশোধ নিতেই খুন, দাবি পুলিশের

পুরনো শত্রুতার জেরেই প্রতিবেশীকে খুন করেছিলেন যুবক, গলসির বড়মুড়িয়া গ্রামের শেখ আসফারকে খুনের ঘটনায় শেখ রাজুকে গ্রেফতার করার পরে, এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২০ ০১:৪০
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

পুরনো শত্রুতার জেরেই প্রতিবেশীকে খুন করেছিলেন যুবক, গলসির বড়মুড়িয়া গ্রামের শেখ আসফারকে খুনের ঘটনায় শেখ রাজুকে গ্রেফতার করার পরে, এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ।

গত বুধবার বোনের বাড়ি থেকে ফেরার পথে খুন হন পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই যুবক। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে উত্তর দিনাজপুরে রায়গঞ্জের শরিয়াবাদ বটতলা থেকে রাজুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, খুনের কথা কবুল করেছে রাজু। পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রায়গঞ্জে নজর রাখা হয়েছিল। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ধৃতকে। আরও তদন্তের জন্য হেফাজতে নিয়ে নিয়ে জেরা করা হবে।’’

পুলিশের দাবি, জেরায় রাজু তাঁদের জানিয়েছে, মাস ছয়েক আগে একটি ছাগলকে মেরে ফেলা নিয়ে আসফারের সঙ্গে বিবাদ বাধে তার। আসফারের পরিজনেদের সঙ্গেও কথা কাটাকাটি হয়। তাঁরা রাজুকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ। পুলিশের দাবি, সেই মারের প্রতিশোধ নিতেই সুযোগ খুঁজছিল রাজু। ঘটনার দিন বিকালে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সেই সুযোগ করে দেয়। কুলগড়িয়া সার্ভিস রোড ধরে আসফার বাড়ি ফিরবেন অনুমান করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আগেই কুলগড়িয়ার বাজারের কাছে বসেছিল রাজু। পুলিশের দাবি, আসফারকে একা পেয়ে কোনও কথা না বলে ওই অস্ত্র দিয়ে প্রথমে তাঁর মুখে আঘাত করে ধৃত। সেই আঘাতে সাইকেল থেকে আসফার পড়ে যেতেই তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে দুই হাতের শিরা কেটে দেওয়া হয়, গলায় ব্লেড দিয়ে কাটা হয় বলেও পুলিশের দাবি। শেষে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশের নর্দমার ঢাকনা খুলে তাতে দেহ ভরে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।

পুলিশের দাবি, গোড়ায় রাজুর মোবাইল বন্ধ থাকায় তদন্তে সূত্র মিলছিল না। পরে জানা যায়, রায়গঞ্জে রাজুর পাঁচ কাকা থাকেন। সেখানেই সে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে অনুমান করে রবিবার পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছয়। দু’দিন ধরে তল্লাশি চালিয়ে ধরা হয় তাকে। গলসি থানার এক পুলিশ আধিকারিকের দাবি, রাজু নেপাল পালানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তার কাছে কোনও সচিত্র পরিচয়পত্র না থাকায় সীমানা থেকে ফিরে এসে গ্রামে লুকিয়ে ছিল। এ দিন ধৃতকে চার দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠান বর্ধমান আদালতের ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সোমনাথ দাস।

Galsi Crime Murder Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy