প্রতীকী ছবি।
নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানানোর নাম করে বাড়িতে ঢুকেছিল যুবক। তার পরেই প্রেমিকাকে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে সোনু প্রসাদ, তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে বর্ধমানের খালাসিপাড়া রেল কলোনির বাসিন্দা সোমা দাসকে (২০) খুন করে সোনু বিষ খায় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, সোমার বৌদিকে ঘরে আটকে রেখেই তাঁকে খুন করা হয়। তবে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি সোনুকে এখনও জেরা করতে পারেনি পুলিশ। রবিবার বর্ধমান থানার তরফে জানানো হয়, ত্রিকোণ প্রেমের জন্যই খুন কি না তা দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত যুবক সুস্থ হলেই জেরা করা হবে, জানান আইসি শান্তনু মিত্র।
সোনুর বাড়ি বর্ধমান শহরের ভাঙাকুঠি এলাকায়। সে শহরের একটি নার্সিংহোমের কর্মী। পুলিশ জানায়, শনিবার বাড়িতেই ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে পড়েছিলেন সোমা। পাশে অচেতন অবস্থায় পড়েছিল সোনু। এক টোটো চালক দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সোমার মৃত্যু হয়। সোনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
শনিবার রাতে বর্ধমান থানায় বসে মৃতার বৌদি বিন্দু দাসের অভিযোগ, “আমি ভিতরের ঘরে ছিলাম। ওরা বাড়িতে ঢুকে গল্প করছিল। আচমকা চিৎকার শুনে বেরোতে গিয়ে দেখি দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। ফোন করলে পাশের বাড়ির লোক এসে দরজা খুলে দেয়।” পুলিশকে তিনি জানান, সোমার পাশেই একটি ধারালো ছুরি পড়েছিল।
পরিবার ও পড়শিদের কাছে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে পাড়ারই এক যুবককে বিয়ে করেন সোমা। তাঁদের একটি ছেলেও রয়েছে। বছরখানেক আগে স্বামীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকে মা বন্দনাদেবীর কাছেই থাকেন সোমা। বন্দনাদেবী রেলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। তিনি বলেন, “কয়েক মাস ধরে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আমরা নারাজ ছিলাম বলে সোমা বিয়েতে মত দিচ্ছিল না। সে নিয়ে গোলমাল চলছিল।’’ এর আগেও এক বার সোনু সোমাকে খুনের চেষ্টা করে বলে তাঁর দাবি।
পুলিশ জানায়, সোনু বিয়ে করার জন্য সোমাকে বারবার চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু সোমা তাতে রাজি ছিলেন না। বেশ কিছু দিন সোমা স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে মেলামেশা করছেন দেখে সোনু খেপে ওঠে। তার পরেই নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছে জানানোর নামে বাড়িতে ঢুকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy