যে কোনও অজুহাতে বাস বন্ধ করা যাবে না বলে বাস মালিক ও কর্মচারী সংগঠনের নেতাদের সাফ জানালেন কাটোয়ার মহকুমাশাসক মৃদুল হালদার। মঙ্গলবার বিকেলে কাটোয়া মহকুমা শাসকের দফতরে বাস মালিক সমিতি, কর্মচারী সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেন মৃদুলবাবু। সেখানে তিনি বলেন, “কোনও ভাবেই বাস বন্ধ করা যাবে না। বাস বন্ধ করলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।”
চলতি মাসেই কোনও ঘোষণা ছাড়াই দু’বার কাটোয়া-বর্ধমান রুটের বাস বন্ধ ছিল। গত রবিবার ও সোমবার বাস কর্মচারীদের নিজেদের মধ্যে বচসার জেরে বন্ধ ছিল এই রুটের বাস। এরফলে বার বার দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের নেতৃত্বেই বৈঠক ডাকে মহকুমা প্রশাসন। এই বৈঠকে বাস মালিক ও কর্মচারী সংগঠনের নেতারা জানান, বাসের ভাড়া চাইতে গেলে যাত্রীদের হাতে প্রহৃত হচ্ছেন কর্মচারীরা। আন্দোলন না করা হলে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। তাঁদের আরও দাবি, ভাতার থেকে বর্ধমানের ১৯ কিলোমিটার রাস্তায় মোট ১৩টি বাস স্টপ রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই পরিবহণ দফতরের অনুমোদিত নয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে এই স্টপে বাস থামাতে হচ্ছে। এর ফলে গন্তব্যেস্থলে পৌঁছাতে নির্ধারিত সময়ের থেকে বেশি সময় লাগছে। বাসমালিকদের দাবি, প্রশাসনকে উদ্যোগ নিয়ে অনুমোদনহীন বাস স্টপগুলি তুলে দিতে হবে। এ দিনের বৈঠকে যাতায়াতের সময় বাড়ানোর দাবি তুলেছেন বাসমালিকরা। যদিও এই দাবির যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, কাটোয়া-বর্ধমান রুটে ৬০ কিলোমিটার রাস্তার জন্য নির্ধারিত সময় হল ৫০ মিনিট। কিন্তু বেশিরভাগ বাসই আড়াই ঘণ্টার আগে পৌঁছায় না। এরপরেও বেশি সময় নিলে বাসে চেপে নির্ধারিত সময়ে কোনও কাজে পৌঁছানোই সমস্যার হয়ে যাবে। মহকুমা শাসক মৃদুলবাবু বলেন, “কোনও অভিযোগ এলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাকি বিষয়গুলি নিয়ে জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট দেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy