শেষ পর্যন্ত আলোচনার মাধ্যমেই একটি বাদে সবকটি অতিরিক্ত মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠী।
প্রসঙ্গত প্রায় আড়াই বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষিত হয় এ বার। কিন্তু তারপর থেকেই মনোনয়ন তোলাকে কেন্দ্র করে বিভাগের টিএমসিপি-র দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল, এমনকী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। মোট ১৯টি আসনের মধ্যে দু’টিতে মনোনয়ন তুলতে পারেনি কোনও পক্ষই। বাকি ১৭টি আসনের জন্য মোট ২৮টি মনোনয়ন পত্র তোলা হয়। এরপর থেকে গোলমাল মেটাতে আসরে নামেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সোমবার ছিল মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের দিন। এ দিন সকালে অশোকবাবুর নির্দেশে সংগঠনের আইন ইউনিটের কার্যনির্বাহী সভাপতি আলোকা হালদার বৈঠকে বসেন যুযুধান দুই গোষ্ঠীর নেতা কৃষ্ণেন্দু রায়, দীপায়ন দাস, সাহেব মিদ্দাদের সঙ্গে। প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় (১১টা থেকে সাড়ে ১২টা) পার হয়ে গেলেও দফায় দফায় বৈঠক চলতে থাকে। শেষে পর্যন্ত বিকেল ৫টা নাগাদ অতিরিক্ত মনোনয়নপত্রগুলি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। শুধুমাত্র তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া, বিক্ষুব্ধ প্রার্থী দিব্যেন্দু পাঁজা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় আগামী ১১ মার্চ ওই আসনে ভোট হবে টিএমসিপিরই দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে। দু’পক্ষেরই অবশ্য দাবি, এর জেরে তাঁরাই লাভবান হবেন। দুই গোষ্ঠীর নেতা সাদ্দাম হোসেন ও দীপায়ন দাস বলেন, “প্রত্যাহারের ফলে আমাদেরই লাভ। নির্বাচনের পরে আমরাই ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের পদে প্রার্থী দাঁড় করাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy