Advertisement
E-Paper

অবৈধ নির্মাণে মদতের অভিযোগ

পুরসভা এলাকায় বেআইনি নির্মাণে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুরসভার বিরুদ্ধেই। সোমবার মেমারির কংগ্রেস নেতা তথা এআইসিসির সদস্য সেলিম মোল্লা বর্ধমানের জেলাশাসক থেকে শুরু করে মহকুমাশাসক দক্ষিণ, এমনকী পূর্ত দফতরের কাছেও এই অভিযোগ জানিয়েছেন। সেলিম মোল্লার দাবি, মেমারি পুরসভা লাগোয়া যে জায়গায় অবৈধ ভাবে বহুতল নির্মাণে পুরসভা মদত দিচ্ছে, সেটি আসলে পূর্ত দফতরের জায়গা। অথচ ওই ভবন তৈরির আগে নির্মাণকারী পুরসভা বা পূর্ত দফতরের কারও কোনও অনুমতি নেয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৫৩
পুরসভা লাগোয়া এই নির্মাণ নিয়েই উঠেছে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।

পুরসভা লাগোয়া এই নির্মাণ নিয়েই উঠেছে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।

পুরসভা এলাকায় বেআইনি নির্মাণে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুরসভার বিরুদ্ধেই। সোমবার মেমারির কংগ্রেস নেতা তথা এআইসিসির সদস্য সেলিম মোল্লা বর্ধমানের জেলাশাসক থেকে শুরু করে মহকুমাশাসক দক্ষিণ, এমনকী পূর্ত দফতরের কাছেও এই অভিযোগ জানিয়েছেন।

সেলিম মোল্লার দাবি, মেমারি পুরসভা লাগোয়া যে জায়গায় অবৈধ ভাবে বহুতল নির্মাণে পুরসভা মদত দিচ্ছে, সেটি আসলে পূর্ত দফতরের জায়গা। অথচ ওই ভবন তৈরির আগে নির্মাণকারী পুরসভা বা পূর্ত দফতরের কারও কোনও অনুমতি নেয়নি। এমনকী স্থানীয় বিধায়ক এবং পুরসভার অন্যান্য কাউন্সিলরদের ওই বিষয়ে অন্ধকারে রাখা হয়েছে বলে তাঁর দাবি।

তবে মেমারির পুরপ্রধান স্বপন বিষয়ীকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “ওই ভবনের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।” তিনি নিজে ওই অবৈধ নির্মানে জড়িত কি না সে প্রশ্ন করা হলে অবশ্য উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন তিনি। ওই ভবনের অনুমতি রয়েছে কি না তা জানাতে পারেনি পূর্ত দফতরও।

মেমারি পুর এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হওয়া ওই বহুতলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই চাপানউতোর চলছে। পুরপ্রধানের বিরোধী কয়েকজন কাউন্সিলার এর আগেও ওই ভবনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের দাবি, ওই ভবন নির্মানের আগে পুরসভায় কোনও বৈঠক হয়নি। এমনকী বোর্ড মিটিং ডেকে ওই নির্মাণের বিষয়ে কোনও আলোচনাও করেননি পুরপ্রধান। ফলে এই অবৈধ নির্মানের দায়ও নিতে চাইছেন না তাঁরা। পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন ঘোষালের অভিযোগ, “সোমবার পুরসভায় বোর্ড মিটিংয়ে ওই নির্মাণ প্রসঙ্গে কথা উঠছে। আমি চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কে পূর্ত দফতরের জায়গায় বাড়ি করতে অনুমতি দিয়েছে। তখন চেয়ারম্যান বলেন, বাড়ি তৈরি করার অনুমতি পূর্ত দফতরই দিয়েছে। তবে আমি অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, মৌখিক অনুমতির ভিত্তিতে কাজ হচ্ছে। এই ব্যাপারে পুরসভা জড়িত নয়।” বাকি কাউন্সিলরদের একাংশেরও দাবি, পুরসভার বালি সিমেন্ট ব্যবহার করেই ওই বাড়ি তৈরি হচ্ছে। বাড়ি মালিকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের সেলামিও নেবে পুরসভা। তাই পুরপ্রধান ও তাঁর ঘনিষ্ঠেরা ওই বাড়ি তৈরিতে মদত দিচ্ছেন বলে তাঁদের অভিযোগ।

ফলে প্রশ্ন উঠছে, পূর্ত দফতরের জায়গায় কোনও অনুমতি ছাড়া পুরসভা কি করে একটি ভবন নির্মানের অনুমতি দিয়েছে? নির্মাণ নিয়ে কেন গোপনীয়তা অবলম্বন করা হচ্ছে, সে প্রশ্নও তুলেছেন একাংশ কাউন্সিলরেরা। অভিযোগকারী সেলিম মোল্লারও দাবি, “আমরা কয়েকজন কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তাঁদের সঙ্গে বোর্ড মিটিংয়ে ভবনটি নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ধন্দ মেটাতেই জেলাশাসক, মহকুমাশাসক তথা পূর্ত দফতরের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছি আমরা।”

পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কাজী মহম্মদ রফিক অবশ্য বলেন, “আমাদের হাতে ওই বিষয়ে কোনও অভিযোগ পৌঁছেছে কি না তা জানা নেই। যদি পৌঁছে থাকে তাহলে অবশ্যই ওই ঘটনা নিয়ে আমরা খোঁজখবর করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।” মহকুমাশাসক দক্ষিণ অরুনকুমার রায়েরও আশ্বাস, “মেমারি পুরসভার নাকের ডগায় পূর্ত দফতরের জায়গায় অবৈধ নির্মান চলছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

illegal promoting selim mollah memari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy