Advertisement
E-Paper

অল্প বৃষ্টিতে ভাসে মাটির সেতু, দাবি সংস্কারের

টানা বৃষ্টি হলেই বেহাল হয়ে যায় মাটি ও পাথর দিয়ে তৈরি করা সেতু। ফলে প্রতি বর্ষাতেই দেখা যায় বিপত্তি। আবার পাশ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের সিটিকা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হলেই সেতু ডুবে যায় জলে। সেই সময় পারাপারের ভরসা একমাত্র নৌকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৪ ০৬:৩৮
জামুড়িয়ার দরবারডাঙায় অজয়ের উপরে এই কাঁচা সেতুই মাথাব্যথা এলাকাবাসীর। —নিজস্ব চিত্র।

জামুড়িয়ার দরবারডাঙায় অজয়ের উপরে এই কাঁচা সেতুই মাথাব্যথা এলাকাবাসীর। —নিজস্ব চিত্র।

টানা বৃষ্টি হলেই বেহাল হয়ে যায় মাটি ও পাথর দিয়ে তৈরি করা সেতু। ফলে প্রতি বর্ষাতেই দেখা যায় বিপত্তি। আবার পাশ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের সিটিকা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হলেই সেতু ডুবে যায় জলে। সেই সময় পারাপারের ভরসা একমাত্র নৌকা। জামুড়িয়ার দরবারডাঙায় অজয় নদের উপরের অস্থায়ী সেতুটির অবস্থা এমনই।

মাটি ও পাথর দিয়ে তৈরি হলেও আন্তঃরাজ্য ও আন্তঃজেলা যোগাযোগের জন্য জামুড়িয়ার দরবারডাঙার এই সেতু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই সেতুর অন্য প্রান্তে রয়েছে বীরভূমের বিনুই গ্রাম। সেখান থেকে সিউড়ি হয়ে সড়কপথে উত্তরবঙ্গে যাওয়া যায়। আবার সেতুটির পশ্চিম দিকে রয়েছে ঝাড়খন্ডের নলা জেলার সিয়ারকোটা গ্রাম। ওই গ্রাম থেকে দিল্লি যাওয়া যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দরবারডাঙা সেতু আসানসোল ও রানিগঞ্জের দুরত্ব যথাক্রমে ২৫ ও ২০ কিলোমিটার। স্বল্প দুরত্বের কারণে জেলার আসানসোল জেলা হাসপাতাল ও রানিগঞ্জ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বীরভূম তো বটেই ঝাড়খণ্ড থেকেও অনেকে চিকিৎসা করাতে আসেন। কিন্তু বৃষ্টিতে সেতু যখন ডুবে যায় তখনই তাঁরা সমস্যায় পড়েন। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, বাম পরিচালিত জেলা পরিষদের কাছে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই সেতুটিকে পাকা করার দাবি জানিয়ে এলেও কোনও কাজ হয়নি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে সম্প্রতি জেলা পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল ওই সেতুটি পরিদর্শনে করতে এসেছিলেন। তবে কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য আশাবাদী হতে রাজি নন।

সেতু তৈরির দাবিতে স্থানীয় স্তরে সব রাজনৈতিক দলই সরব হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা হারাধন ভট্টাচার্য্য জানান, পাকা সেতু নির্মাণের জন্য তাঁরা জেলা পরিষদের সভাপতিকে চিঠি লিখেছেন। সেতুটি তৈরি হলে ওই সেতু দিয়ে বাস-গাড়ি চলাচল করতে পারবে। যাতায়াতে সময় বাঁচবে। হারাধনবাবুর দাবি, “দ্রুত সেতুর কাজ শুরু না হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে আন্দোলন শুরু করা হবে।” আসানসোলের সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, “বছর পাঁচেক আগে সেতুটি তৈরি করার জন্য পূর্ত দফতরের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা অনুমোদন হয় নি। তবে বর্তমান রাজ্য সরকার যদি সেতুটি নির্মাণ করে তাহলে আমরা সহযোগিতা করব।” জামুড়িয়ার বিডিও বুদ্ধদেব পান জানান, অজয় নদের উপরে ওই সেতুটি নির্মাণ করার বিষয়ে জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতিতে আলোচনা করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি জেলাপরিষদেও জানানো হয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত বর্তমান জেলা পরিষদের সভাপতি দেবু মুর্মু বলেন, “আমাদের কাজের তালিকায় ওই সেতু নির্মাণের প্রকল্পটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। বছর খানেকের মধ্যেই কাজ শুরু হওয়ার কথা।”

rain bridge jamuria
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy