পাকিস্তানের জেলে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে। দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিও। এমনকি এই শীতের মধ্যেও তাঁদের গরম পোশাক দেওয়া হচ্ছে না। এমনটাই অভিযোগ তুললেন ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা তথা খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মহম্মদ সোহেল আফ্রিদি।
২০২৩ সালের অগস্ট মাস থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান। সাম্প্রতিক সময়ে বার বার ইমরানের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছেন খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আদিয়ালা কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে ইমরানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিচ্ছেন না। বৃহস্পতিবারও কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান তিনি। এ বারও অনুমতি মেলেনি। এই নিয়ে ১০ বার তাঁর ইমরানের সঙ্গে দেখা করার আবেদন খারিজ করলেন জেল কর্তৃপক্ষ। তার পরেই ফের সুর চড়ালেন পিটিআই নেতা।
শুক্রবার খাইবার পাখতুনখোয়ার মন্ত্রিসভায় বক্তৃতা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সোহেল। সেই সময়েই তিনি বলেন, “তীব্র শীতের মধ্যেও বন্দি দম্পতিকে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না। শীতবস্ত্রও দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের।” সম্প্রতি ইমরানের পরিবারের সদস্যদেরও জেলবন্দি নেতার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। গত মাসে আদিয়ালা জেলে ইমরানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তাঁর তিন বোন— আলিমা, উজ়মা এবং নুরা খান। তাঁদের হটাতে জলকামানও ব্যবহার হয়। যদিও পরে জেলে গিয়ে ইমরানের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তাঁর বোন।
আরও পড়ুন:
গত মাসে ইমরানের বোনেদের উপর জলকামান ছোড়ার সেই ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। ওই ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। খাইবার পাখতুনখোয়া সরকার ওই ঘটনাকে অন্যায় এবং অমানবিক আচরণ বলে উল্লেখ করেছে। আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে কেন তাঁর দলের প্রতিষ্ঠাতা তথা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আফ্রিদি।