Advertisement
E-Paper

উড়ালপুলের দাবিতে রেল অবরোধ

উড়ালপুল নির্মাণের দাবিতে প্রায় তিন ঘণ্টা রেল অবরোধ করলেন ঝাড়খণ্ডের কুমারডুবি এলাকার বাসিন্দারা। বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কুমারডুবি স্টেশনে শুরু হয় অবরোধ। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন নিরসার এমসিসি বিধায়ক অরূপ চট্টোপাধ্যায়। সাড়ে ৯টা নাগাদ মহকুমাশাসক (ধানবাদ) অভিষেক শ্রীবাস্তব রেল কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩৪
বুধবার সকালে তোলা নিজস্ব চিত্র।

বুধবার সকালে তোলা নিজস্ব চিত্র।

উড়ালপুল নির্মাণের দাবিতে প্রায় তিন ঘণ্টা রেল অবরোধ করলেন ঝাড়খণ্ডের কুমারডুবি এলাকার বাসিন্দারা। বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কুমারডুবি স্টেশনে শুরু হয় অবরোধ। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন নিরসার এমসিসি বিধায়ক অরূপ চট্টোপাধ্যায়। সাড়ে ৯টা নাগাদ মহকুমাশাসক (ধানবাদ) অভিষেক শ্রীবাস্তব রেল কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।

এই অবরোধের জেরে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে হাওড়া ও শিয়ালদহ রাজধানী-সহ বেশ কিছু দূরপাল্লার ও লোকাল ট্রেন আটকে পড়ে। এ দিন দুপুরে আসানসোলের ডিআরএমের সঙ্গে বৈঠক করেন মহকুমাশাসক ও নিরসার বিধায়ক। দু’পক্ষই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সীমানায় কুমারডুবি এলাকায় জি টি রোডের উপরে একটি রেল টানেল আছে। এই টানেলের উপর দিয়ে গিয়েছে পূর্ব রেলের গ্র্যান্ড কর্ড লাইন। জি টি রোড ধরে প্রতি দিন কয়েক হাজার গাড়ি এই টানেল দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু টানেলটি এত সরু যে দু’টি গাড়ি পাশাপাশি যাওয়া মুশকিল। ফলে, সেখানে যানজট তৈরি হয় নিয়মিত। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্ষায় জল জমে যাওয়ার জন্য এই টানেলটি ব্যবহার করা যায় না। তখন তাঁদের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে দু’নম্বর জাতীয় সড়ক ধরতে হয়। বিধায়ক অরূপবাবুর অভিযোগ, “এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আমরা বহু দিন ধরে এখানে একটি উড়ালপুল নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু তা শোনা হচ্ছে না।” তাঁর দাবি, ঝাড়খণ্ড সরকার এখানে উড়ালপুল তৈরির জন্য নিজেদের ভাগের টাকা অনুমোদন করে দিয়েছে। কিন্তু রেলের তরফে কোনও হেলদোল নেই।

এ দিন দুপুরে আসানসোলের ডিআরএমের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠক করেন মহকুমাশাসক অভিষেক শ্রীবাস্তব ও বিধায়ক অরূপবাবু। প্রায় ঘণ্টাখানেকের বৈঠক শেষে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মহকুমাশাসক বলেন, “রেলের হিসেব মতো এই উড়ালপুল তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৫১ কোটি টাকা। রাজ্য সরকার দেবে ৪০ কোটি টাকা। বাকিটা দেবে রেল।” ডিআরএম সঞ্জয় শেখর গেহলেট বলেন, “উড়ালপুলটি তৈরির ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

অবরোধে কুমারডুবির আশপাশে নানা স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে হাওড়া ও শিয়ালদহগামী রাজধানী, রাঁচিগামী শতাব্দি এক্সপ্রেস-সহ বেশ কিছু ট্রেন। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। আগাম খবর না থাকায় রেলের তরফেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।

kumardubi flyover agitation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy