কর্মিসভায় অধীর। —নিজস্ব চিত্র।
কর্মিসভায় এসে আগে সাধারণ কর্মীদের কথা শুনতে চাইলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের রবীন্দ্রভবনে তিনি বলেন, “নেতারা পরে কথা বলবেন। আমি প্রথমে কর্মীদের কথা শুনব।” কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “কী করলে কংগ্রেসের ভাল হবে, আপনারা বলুন।” প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে তিনি ব্লকের নিচুতলার কর্মীদের কথা শোনেন। কর্মীরা বলার সময়ে নিজের ডায়রিতে তাঁদের নাম ও বক্তব্যও লিখে রাখতে দেখা যায় তাঁকে।
পরে অধীরবাবুর দাবি, “রাজ্যে তৃণমূলের মধ্যে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তাতে নিজেদের মধ্যে মারপিট করেই ওরা শেষ হবে। এখন তো রাজ্যে শুধু তোলাবাজি চলছে।” কর্মীদের তিনি বলেন, “শুধু গ্রামে-গ্রামে গিয়ে বুথ স্তর পর্যন্ত সংগঠন করুন। কংগ্রেসের সরকারের আমলে নানা প্রকল্পে তো মানুষ সুফল পেয়েছেন। এই সব কাজ যে কংগ্রেস করেছে, তা মানুষকে বুঝিয়ে বলুন।” তাঁর আরও দাবি, “বিজেপি নিরুঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ভোট পেয়েছে মাত্র ৩৩ শতাংশ। শুধু ভোট কাটাকাটির খেলায় ওরা জিতেছে।”
জেলা কংগ্রেস নেতা কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ঘরে বসে রাজনীতি করার দিন শেষ। বর্ধমানে বিশাল একটি ভবন রয়েছে জেলা কংগ্রেসের। সেখানে বসে মানুষের নানা সমস্যা নিয়ে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে হবে। তাহলেই দল জমসমর্থন ধরে রাখতে পারবে।” দলের বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ ভট্টাচার্যের আবার বক্তব্য, “দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে হবে। দলে-দলে কর্মী-সমর্থক তৃণমূল বা বিজেপি-তে চলে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় ঐক্যবদ্ধ হতে অধীববাবু নির্দেশ দেওয়ায় আমরা খুশি।”
জেলা কংগ্রেসের বেশির ভাগ কর্মী দাবি তোলেন, শহরের নেতাদের নিয়ম করে গ্রামে গিয়ে সভা করতে হবে। দলে সর্বক্ষণের সভাপতি চাই, যিনি অন্য কোনও পেশায় যুক্ত থাকবেন না। সভাপতি যিনি হবেন তাঁর ঘনিষ্ঠদের যেন পদে রাখা না হয়। যোগ্যতার ভিত্তিতে পদাধিকারী স্থির করতে হবে। বুথ স্তরে কর্মীদের নিয়ে সংগঠন গড়তে হবে। প্রতি নির্বাচনে প্রার্থী দিতে হবে ও সব বুথে এজেন্ট দিতে হবে। সমস্ত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জাতীয় কংগ্রেস থেকে টাকা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। কারণ, টাকার লোভে উপযুক্ত নন এমন লোকও প্রার্থী হচ্ছেন বলে অনেক কর্মীর দাবি। কিছু কর্মী দাবি করেন, অনেক সময়ে দলের পতাকা কেনার টাকা পর্যন্ত থাকে না। তা শুনে অধীরবাবু বলেন, “যাতে নিচুতলার কর্মীদের সংগঠন করতে কিছু অনুদান দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে আমি এআইসিসি নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy