Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
পানাগড়: আমাদের চিঠি

খোলা মুখ নর্দমায় বাড়ছে বিপদ

পানাগড় বাজারের জাতীয় সড়ক লাগোয়া নর্দমা। এক সময় নর্দমায় কংক্রিটের ঢাকনা ছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন সেগুলি কোথাও ধসে পড়েছে কোথাও বা আবার তা লোপাট হয়ে গিয়েছে। এর জেরে হাঁ মুখ হয়ে থাকা নর্দমায় পথচারী এমনকী যানজটের সময় মোটরবাইক আরোহীও পড়ে যেতে পারেন।

এ ভাবেই খোলা পড়ে নর্দমা। ছবি: বিকাশ মশান।

এ ভাবেই খোলা পড়ে নর্দমা। ছবি: বিকাশ মশান।

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৫৫
Share: Save:

নর্দমায় ঢাকনা নেই

পানাগড় বাজারের জাতীয় সড়ক লাগোয়া নর্দমা। এক সময় নর্দমায় কংক্রিটের ঢাকনা ছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন সেগুলি কোথাও ধসে পড়েছে কোথাও বা আবার তা লোপাট হয়ে গিয়েছে। এর জেরে হাঁ মুখ হয়ে থাকা নর্দমায় পথচারী এমনকী যানজটের সময় মোটরবাইক আরোহীও পড়ে যেতে পারেন। ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে রাতে অবস্থা আরও শোচনীয়। এই রাস্তা এড়াতে ওই সময় অনেকেই জাতীয় সড়কের গাড়ির ভিড়ের মাঝ দিয়েই যাতায়াত করেন, যা আরও ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া নর্দমার দুর্গন্ধেও টেকা দায়। গ্রীষ্ম পড়তেই শুরু হয় মশার উপদ্রবও। স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।

নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, পানাগড় গ্রাম।

বেহাল স্বাস্থ্যকেন্দ্র

পানাগড়, কাঁকসা সহ ব্লকের আদিবাসী অধ্যুসিত হাজার খানেক মানুষের একমাত্র ভরসা কাঁকসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু এখানকার স্বাস্থ্য পরিষেবা কার্যত বেহাল। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ও পানাগড়-মোড়গ্রাম রাজ্য সড়কের সংযোগকারী দার্জিলিং মোড় থেকে সামান্য দূরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি অবস্থিত। জাতীয় সড়ক বা রাজ্য সড়কে দুর্ঘটনা ঘটলেও আহতদের প্রথমে এখানেই নিয়ে আসা হয়। তাছাড়া কাঁকসা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার দুঃস্থ রোগীদেরও সরকারি পরিষেবা পেতে এখানেই ছুটে আসেত হয়। কিন্তু উপযুক্ত পরিষেবার অভাবে তাঁদের দুর্গাপুর বা বর্ধমানে ছুটতে হয়। এর জেরে সময় ও অর্থের অপচয় হয়। বছর পাঁচেক আগে শয্যা সংখ্যা ১০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করা হলেও অধিকাংশ শয্যাই ফাঁকা পড়ে থাকে। অকারণে রোগীদের অন্য হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্তমান পরিকাঠামোয় ৩০ শয্যার হাসপাতাল চালানো কঠিন। এলাকার সাধারণ মানুষ হিসাবে আমাদের দাবি, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে প্রকৃত হাসপাতালের মর্যাদা দেওয়া হোক।

রাহুল মজুমদার, কাঁকসা।

রাস্তায় আলোর দাবি

এমএএমসি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহুদিন। আদালতের নির্দেশে কারখানা থেকে আলাদাও হয়ে গিয়েছে টাউনশিপ। অথচ টাউনশিপের বাসিন্দারা সাধারণ পরিষেবা থেকে আজও বঞ্চিত। টাউনশিপের বহু জায়গায় রাস্তার আলো ঠিকঠাক জ্বলে না। সন্ধ্যা নামলেই ঘন জঙ্গলের মাঝে টাউনশিপের বহু জায়গায় যাতায়াত করাও কষ্টকর। পুরসভায় দরবার করলে মাঝে মাঝে আলো লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু টাউনশিপে পরিষেবা দেওয়ার সরাসরি দায়িত্বও পুরসভার নয়। শহরের আর পাঁচটা জায়গার মতো আমাদের টাউনশিপেও যাবতীয় পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হোক পুরসভাকেই।

রামপ্রসাদ রায়, এমএএমসি টাউনশিপ।

লোকাল ট্রেনের দাবি

রেলের হিসাবে, মাসে গড়ে প্রায় ৪ লক্ষ ২১ হাজার যাত্রী দুর্গাপুর স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন। অনেকেই লোকাল ট্রেনের যাত্রী। কিন্তু শিল্প শহর দুর্গাপুর থেকে কোনও লোকাল ট্রেন ছাড়ে না। ট্রেনগুলি আসে আসানসোল, পুরুলিয়া বা ঝাড়খণ্ড থেকে। ফলে অধিকাংশ সময় বসার জায়গা থাকে না। এর জেরে বিপাকে পড়েন বয়স্ক, শিশু ও মহিলা যাত্রীরা। ২০০৭ সালে তত্‌কালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব দুর্গাপুরে রেলের এক অনুষ্ঠানে এসে প্রকিশ্রুতি দেন, শহর থেকে লোকাল ট্রেন চালুর প্রস্তাব পরবর্তী রেল বাজেটে রাখা হবে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। সামনেই এবারের রেল বাজেট। আমাদের দাবি, এবারের বাজেটে অন্তত দুর্গাপুর থেকে হাওড়া ও শিয়ালদহগামী লোকাল ট্রেন চালুর প্রস্তাব রাখা হোক।

অমিতাভ চক্রবর্তী, সিটি সেন্টার।

ফুটপাথের দাবি

দুর্গাপুর শহর আগের থেকে অনেক আধুনিক হয়েছে। শহরের জনসংখ্যাও বেড়েছে অনেকখানি। কিন্তু রাস্তার পাশে আজও ফুটপাথ গড়ে ওঠেনি। ফলে গাড়ি বা যানবাহনের মাঝ দিয়েই যাতায়াত করতে হয় পথচারীদের। বিশেষ করে সিটি সেন্টার এলাকার রাস্তাগুলিতে শুরুর কয়েক কিলোমিটার অন্তত ফুটপাথ গড়া দরকার। কারণ, ওই এলাকায় অফিস, আদালত, বাসস্ট্যান্ড থাকায় বাইরে থেকে অনেকেই আসেন। সিটি সেন্টার থেকে মৌলানা আজাদ মোড় ও সিটি সেন্টার থেকে ক্ষুদিরাম সরণির কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তাতেও ফুটপাথ ভীষণ জরুরি। মিনিবাসগুলিও রাস্তার যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলে, নামায়। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে গাড়ি, মোটর বাইকও। এই পরিস্থিতিতে পথচারীদের যাতায়াত করা ঝুঁকির।

অনিমা চট্টোরাজ, নন-কোম্পানি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

amar shahor letter panagarh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE