প্রহৃত সৌরভ।—নিজস্ব চিত্র।
দশম শ্রেণীর এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার কাটোয়ার আউরিয়া উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে। এ দিন দুপুরে ওই ছাত্রের বাবা নির্মল ঘোষাল কাটোয়া থানায় ওই শিক্ষকের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ, মঙ্গলবার স্কুল কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
স্কুল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রের নাম সৌরভ ঘোষাল। তার বাড়ি কাটোয়ার কুঁয়ারা গ্রামে। তাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখা গিয়েছে, তার গোটা শরীরে মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি ওই স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক। সৌরভের অভিযোগ, “তৃতীয় পিরিয়ড হওয়ার পরে আমার খিদে পেয়েছিল। তাই আমি বাইরে খাবার কিনতে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি স্যার ক্লাসে ঢুকছে। তখন উনি আমায় ছাত্রীদের ঘরে নিয়ে গিয়ে উঠবোস করতে বলেন। আমি সেটা করতে অস্বীকার করলে সবার সামনে আমায় ছড়ি দিয়ে পেটাতে থাকে। স্যার আমাকে মারতে গিয়ে তিনটে ছড়ি ভেঙে ফেলেছিল।” তাঁর দাবি, সে সবে জন্ডিস থেকে সেরে উঠেছে। এই কথা বলার পরেও ওই শিক্ষক তাঁকে মারধর করেন। ওই ছাত্রের অভিযোগ, তাকে যখন মারধর করা হচ্ছিল তখন প্রধান শিক্ষক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনার খবর পেয়েই স্কুলে যান সৌরভের বাবা। তার অভিযোগ, “স্কুলে গিয়ে দেখি শিক্ষকেরা পিকনিক করছেন। আমার ছেলে মার খেয়ে ঠকঠক করে কাঁপছে। শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ করতে গেলে তারা তেড়ে আসেন।”
অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনার সময়ে আমি উপস্থিত ছিলাম না। যে শিক্ষকের অভিযোগ উঠছে তিনি খুব ছাত্রদরদী। এই ঘটনায় সে খুবই মর্মাহত। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার স্কুলের শিক্ষক, পরিচালন সমিতি ও অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy