ভাঙচুরের পর পুলিশের গাড়ি।—নিজস্ব চিত্র।
লরির ধাক্কায় দু’জনের মৃত্যুর পর রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কাঁকসা। টানা চার ঘণ্টা চলল অবরোধ। ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়িতেও। শনিবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটে কাঁকসায় পানাগড়-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়কের উপর পানাগড় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম শেখ আফসার আলি (৪৮) ও মোতায়েম খান (৪২)। আফসারের বাড়ি কাঁকসার হাজরাবেড়ায় ও মোতায়েমের বাড়ি কাঁকসারই রাজবাঁধে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আফসার ও মোতায়েম শনিবার ভোরে কাঁকসায় দানবাবার মেলায় অনুষ্ঠান দেখে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরা যখন পানাগড় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে দিয়ে হাঁটছিলেন তখনই পিছন থেকে একটি লরি এসে তাঁদের ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আফসারের। গুরুতর আহত অবস্থায় মোতায়েমকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
দুর্ঘটনার খবর জানাজানি হওয়ার পরেই উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা পানাগড়-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়কে পথ অবরোধ শুরু করেন। প্রায় চার ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার খবর পেয়েও দেরিতে এসেছে পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, দানবাবার মেলার সময়ে পানাগড়-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে সারা রাত ধরেই মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু সব জানা সত্ত্বেও পুলিশের পক্ষ থেকে ওই রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পরে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। কাঁকসা থানার এক কর্তা বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।” যান নিয়ন্ত্রণের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, “পানাগড়-মোড়গ্রাম রাজ্য সড়কের বিভিন্ন মোড়ে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।”
ধর্ষণে ধৃত
নিজের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকসার বামুনাড়ার আদিবাসী পাড়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর বারোর ওই নাবালিকা প্রায়ই পুরনো কথা ভুলে যায়। শুক্রবার রাতে ওই নাবালিকার মা পুলিশের কাছে নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। নাবালিকাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy