এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক চিকিত্সককে (আরএমপি)। দিন তিনেক আগে মেমারির সাতগেছিয়া বাজারে ঘটনাটি ঘটে। তবে মঙ্গলবার ঘটনা জানাজানি হতেই ওই ক্লিনিকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। তারপরেই পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে ওই চিকিত্সককে।
পুলিশ জানিয়েছে, কাইগ্রামের বাসিন্দা ওই বধূ এক আগেও বেশ কয়েকবার টিউমারের চিকিত্সা করাতে ওই ক্লিনিকে চিকিত্সা করাতে এসেছেন। অভিযোগ, গত ১৫ মার্চ ওই চিকিত্সক মহিলাকে প্রথমে একটি ইনজেকশন দেন। পরে ছুঁচ খুলে আস্ত সিরিঞ্জটি ওই বধূর যৌনাঙ্গে প্রবেশ করানো হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার একটু সুস্থ হয়ে গ্রামে ফেরেন তিনি। এরপরেই সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলেন স্বামীকে।
রাতেই ওই মহিলার স্বামী বেশ কিছু দলবল নিয়ে সাতগেছিয়া বাজারের ওই পলিক্লিনিকে যান। চিকিত্সকের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকাতেও। এরপরেই পুলিশ গিয়ে রাত আটটা নাগাদ ওই চিকিত্সককে থানায় নিয়ে আসে। পরে মহিলা স্বামীকে নিয়ে থানায় এসে ওই চিকিত্সকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলাদের যৌনাঙ্গে কোন কিছু প্রবেশ করালেই তা ধর্ষণের সমতুল অপরাধ। বুধবার অভিযুক্তকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করিয়ে পুলিশ পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায়। আদালত অবশ্য ধৃতকে তিন দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
লিখিত অভিযোগে ওই মহিলা আরও জানিয়েছেন, ওই দিন তাঁর স্বামীকে বাইরে বসিয়ে রেখে চিকিত্সার নামে ওই চিকিত্সক তাঁর সর্বাঙ্গে হাত দিয়েছিলেন। এমনকী তাঁর চিকিত্সা করানোর সময়ে কোনও নার্স বা মহিলা কর্মীও সেখানে ছিলেন না বলে তাঁর দাবি।
ওই সন্ধ্যায় সাতগেছিয়া বাজারে দোতলায় থাকা ওই পলিক্লিনিকের সামনে স্থানীয় মানুষেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সাতগেছিয়া বাজার কমিটির সম্পাদক শরত্ ঘোষের দাবি, “বাজারের ভেতরে যে পলিক্লিনিকটি হয়েছে তা আইনসম্মত কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত প্রশাসনের। এই পলিক্লিনিকে বসে মহিলার সম্মানহানির মত ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।”