নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন আসানসোল কেন্দ্রে কংগ্রেসের দলীয় প্রার্থী ইন্দ্রাণী মিশ্র।
রবিবার জামুড়িয়ার নজরুল শতবার্ষিকী ভবনে একটি কর্মিসভার আয়োজন করেন তিনি। সেখানে জানান, আসানসোলের সার্বিক উন্নয়নে ধারাবাহিক ভাবে সিপিএম ও তৃণমূল সরকারের ‘ব্যর্থতা’ তুলে ধরায় তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। নিয়ামতপুরের মেয়ে ইন্দ্রাণীদেবী। শ্বশুরবাড়ি আসানসোলে। অথচ তাঁকেই সিপিএম, তৃণমূল বহিরাগতের তকমা দিচ্ছে বলে জানান ইন্দ্রণীদেবী। তাঁর দাবি, আসানসোলে মহকুমা হাসপাতালের নাম বদলে জেলা হাসপাতাল রাখা হয়েছে, অথচ পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। স্বাস্থ্য পরিষেবার এতটাই বেহাল অবস্থা যে, সাধারণ রোগের শিকার হলেও সম্পন্ন পরিবারের সদস্যরা অনেকেই ভেলোর চলে যাচ্ছেন এবং গরিব মানুষ বিপাকে পড়ছেন বলেও তাঁর দাবি। তাঁরা ক্ষমতায় এলে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা প্রয়োজনে যৌথ উদ্যোগে চালু করার চেষ্টা করবেন বলেও তাঁর দাবি। কাজোড়ায় একটি কর্মিসভাতেও এ দিন একই কথা বলেন তিনি।
এ দিন দিনভর দুর্গাপুরে প্রচার করেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতা। দুপুরে এবিএল এলাকায় কর্মিসভাও করেন। সভায় হাজির ছিলেন দলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায়, পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। বিকেলে এসবি মোড়ের কাছের মাঠে কর্মিসভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কর্মী সমর্থকদের ভিড়ে তা কার্যত জনসভার রূপ নেয়। সেখানে ছিলেন দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক তথা আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পুরসভার কাউন্সিলরেরা। জনসভা শেষে একটি মিছিল এলাকা পরিক্রমা করে। মমতাজ সংঘমিতা জানান, মানুষের এমন স্বতস্ফুর্ত সাড়া পেয়ে তিনি আপ্লুত।
এ দিনই দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক এলাকায় প্রথম প্রচার করতে আসেন আসানসোল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দোলা সেন। লাউদোহার ধবনী, কাঁটাবেড়িয়া প্রভৃতি জায়গায় কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভা শেষে মিছিলেও হাঁটেন দোলা সেন।