তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করে কালনা পুরসভার নানা চুক্তি, পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপি। তাদের দাবি, বেশ কিছু ব্যাপারে পুরসভার দুর্নীতির খবর রয়েছে তাদের কাছে। সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানতেই কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। তথ্য হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কালনা শহরে বিজেপির ২৫ জনের একটি দল পুরসভার সামনে জড়ো হয়। পুরভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বেআইনি ভাবে পুকুর ভরাট-সহ নানা দাবিতে সরব হয় তারা। এরপরেই বিজেপির রাজ্য কমিটির সভাপতি স্বপন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি দল পুর ভবনের ভিতর ঢুকে তথ্য জানার অধিকারে তিন পাতার একটি আবেদনপত্র জমা দেয়। তাতে জানতে চাওয়া হয়, জিউধারা মৌজায় একটি সম্পত্তি বিক্রির সময় সরকারি অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না। পুরপ্রধান যে গাড়ির নামে বিল তুলছেন তার বিবরণ, একটি মহিলা সমবায়কে দেওয়া পুরসভার মাসিক ভাড়ার পরিমাণ, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্টুডেন্ট হেলথ হোমকে দেওয়া ভবনের সঙ্গে কী চুক্তি হয়েছে এবং রাজ্য সরকারের কাছে চুক্তির আগে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না তাও জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া শহরের মহিষমর্দিনীতলায় যে পার্ক তৈরি হচ্ছে সেই জমির জন্য পোর্ট ট্রাস্টের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না, ভবিষ্যতে পার্কটি ভেঙে দেওয়ার অধিকার পোর্ট ট্রাস্টের থাকবে কি না তাও জানতে চাওয়া হয়। একই আবেদন জমা দেওয়া হয় কালনার মহকুমাশাসকের কার্যালয়েও।
রাজ্য কমিটির সভাপতি স্বপনবাবু বলেন, “পুরসভার নানা কাজ নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা দুর্নীতির আশঙ্কা করছি। তাই তথ্য জানার অধিকার প্রয়োগ করে কিছু তথ্য জানতে চেয়েছি। এ ব্যাপারে আমরা প্রশাসনকে ২০ দিন সময় দিয়েছি।”
পুরপ্রধান বিশ্বজিত্ কুণ্ডু বলেন, “তথ্য জানার অধিকারে মাসে প্রচুর আবেদন পত্র জমা পরে। পুরসভা নিয়ম মেনেই তার উত্তর দেয়। আমি জানিনা বিজেপি কি জানতে চেয়েছে। তবে ওরা নিয়ম মেনে আবেদন করলে নিশ্চয় তার উত্তর দেওয়া হবে। এর জন্য পতাকা নিয়ে গুটিকয়েক লোকের মিছিলের প্রয়োজন নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy