চিন্তায় দম্পতি। —নিজস্ব চিত্র।
সোনার দোকানে লুঠ ও ছিনতাইয়ের ঘটনার পর আবার কেপমারির ঘটনা ঘটল খোদ কাটোয়া শহরের জনবহুল এলাকায়। শুক্রবার দুপুরে এক বৃদ্ধা দম্পতির কাছ থেকে সোনার গয়না ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটল কাটোয়া স্টেশন বাজার এলাকার চৌরাস্তা থেকে স্টেশন যাওয়ার রাস্তায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের ঠ্যাঙাপাড়া গ্রামের দম্পতি গীতারাণি মালিক ও দাশরথি মালিক কাটোয়া শহরের লেভেল ক্রশিংয়ের কাছে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কাছে আসেন। সেখান থেকে মহকুমা আদালতের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। গীতারাণি দেবীর অভিযোগ, “কিছুটা যেতেই এক যুবক এসে আমাদের জানায় ১০ টাকা দিয়ে ফর্ম পূরণ করলে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে।” সেই সময় এক রিক্সা চালকও জানায়, তাঁর ঠাকুমাও ফর্ম পূরণ করে এসেছেন। অভিযোগ, ওই রিক্সা চালকই বৃদ্ধা দম্পতিকে স্টেশন বাজার, চৌরাস্তা থেকে মালগুদাম পর্যন্ত নিয়ে আসেন। সেখানেই গীতারাণিদেবীকে বলা হয়, সোনার গয়না খুলে রেখে যেতে, কারণ তা দেখলে ফর্ম নাও মিলতে পারে। গীতারাণীদেবী গয়না খুলে দাশরথিবাবুর কাছে রেখে যান। গীতারাণীদেবী এর পরই ওই যুবকের সঙ্গে ফর্ম আনতে চলে যান। আর দাশরথিবাবুকে নিয়ে চম্পট দেয় রিক্সা। যুবকের সঙ্গে কিছুদূর যাওয়ার পরই বৃদ্ধার মনে হয়, তিনি ছিনতাইবাজের কবলে পড়েছেন। এরপর তিনি স্টেশনের রাস্তায় ফিরে দেখেন, রিক্সা ও দাশরথিবাবু বেপাত্তা। প্রায় ঘন্টা দু’য়েক ধরে কাটোয়া থানার পুলিশ ওই বৃদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে দাশরথিবাবুর খোঁজ চালায়। শেষ পর্যন্ত তাঁর দেখা মেলে বাসস্ট্যান্ডের কাছে। দাশরথিরবাবুর অভিযোগ, রিক্সাতে কিছুটা যাওয়ার পরেই চালক ব্যাগটা কেড়ে নিল আর চুপ করে বসে থাকতে বলে পালিয়ে গেল। কেপমারির ঘটনায় উদ্বিগ্ন কাটোয়ার ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানান, আমরা আতঙ্কিত। একের পর এক ঘটনায় দুষ্কৃতীরাই যেন পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy