Advertisement
E-Paper

বাড়িতে মিলল পুরুষ ও মহিলার দগ্ধ দেহ

অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় এক পুরুষ ও মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার সকালে কাটোয়ার সিদ্ধেশ্বরীতলায় একটি বাড়ি থেকে দেহ দু’টি মেলে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম দেবনরায়ণ দত্ত (৩৮) ও সন্তোষী মাঝি (৪২)। নদিয়ার রানাঘাটের কোর্ট মোড়ের বাসিন্দা দেবনারায়ণবাবু দীর্ঘ দিন ধরে সিদ্ধেশ্বরীতলায় এই বাড়িতে থাকতেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৫ ০০:৪৫

অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় এক পুরুষ ও মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার সকালে কাটোয়ার সিদ্ধেশ্বরীতলায় একটি বাড়ি থেকে দেহ দু’টি মেলে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম দেবনরায়ণ দত্ত (৩৮) ও সন্তোষী মাঝি (৪২)। নদিয়ার রানাঘাটের কোর্ট মোড়ের বাসিন্দা দেবনারায়ণবাবু দীর্ঘ দিন ধরে সিদ্ধেশ্বরীতলায় এই বাড়িতে থাকতেন। বর্ধমানের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিবাহ বহিভূর্ত সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবনারায়ণবাবু কাটোয়ায় দিনমজুরি ও সন্তোষীদেবী পরিচারিকার কাজ করতেন। দেবনারায়ণবাবু অবিবাহিত ছিলেন। সন্তোষীদেবী স্বামী বিচ্ছিন্না। স্থানীয় সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে গত ছ’মাস ধরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেবনারায়ণবাবুর বাড়িতে মাঝে-মধ্যে যাতায়াত ছিল সন্তোষীদেবীর। শনিবার ভোরে ওই বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন আশপাশের বাসিন্দারা। ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁরা পুলিশ ও দমকলে খবর দেন। তারা এসে ঘরের দরজা ভেঙে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, সন্তোষীদেবীর মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দরজা ভাঙার পরে সন্তোষীদেবী দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। সেই অবস্থাতেই তাঁর গায়ে আগুন লাগানো হয়েছিল। ঘরের মেঝেতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়েছিল দেবনারায়ণবাবুর দেহ। পুলিশের অনুমান, সন্তোষীদেবীকে খুন করার পর দেবনারায়ণবাবু গায়ে আগুন লাগিয়েছেন।

দেবনারায়ণবাবুর পিসি, কাটোয়ার সার্কাস ময়দানের বাসিন্দা নীলিমা দাসের দাবি, “দেবনারায়ণের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম আমরা। সে কথা জানতে পেরে ওই মহিলা ওকে হুমকি দিত। বারবার টাকা চাইত। এ নিয়ে ওদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।” জেলা পুলিশ সূত্রেও জানা যায়, সম্প্রতি নদিয়ার রানাঘাটে পৈতৃক সম্পত্তির খোঁজ পান দেবনারায়ণ। সে কথা জানার পরে মোটা টাকা না দিলে সম্পর্কের কথা সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন সন্তোষীদেবী। তার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সুপার অবশ্য বলেন, “দু’টি পরিবারের সঙ্গেই যোগাযোগ করে তদন্ত চলছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে কী ভাবে মৃত্যু হল, তা পরিষ্কার হবে।” এ দিন অবশ্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়না-তদন্ত হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এই ধরনের জটিল ঘটনায় ময়না-তদন্ত সাধারণ চিকিৎসকরা করতে চান না। সে জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে দেহ পাঠানো হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy