Advertisement
E-Paper

মিথ্যা মামলায় চার জনকে ধরার নালিশ পাণ্ডবেশ্বরে

বধূর শ্লীলতাহানিতে বাধা দিতে গিয়েছিলেন স্বামী-সহ চার জন পড়শি। পুলিশ উল্টে তাঁদেরই গ্রেফতার করেছেএই অভিযোগে ধৃতদের পরিবার শুক্রবার চিঠি পাঠাল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে। এডিসিপি (সেন্ট্রাল) সুনীল যাদব বলেন, “আমি বাইরে ছিলাম। অভিযোগ এখনও হাতে পাইনি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৪ ০১:০৭

বধূর শ্লীলতাহানিতে বাধা দিতে গিয়েছিলেন স্বামী-সহ চার জন পড়শি। পুলিশ উল্টে তাঁদেরই গ্রেফতার করেছেএই অভিযোগে ধৃতদের পরিবার শুক্রবার চিঠি পাঠাল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে। এডিসিপি (সেন্ট্রাল) সুনীল যাদব বলেন, “আমি বাইরে ছিলাম। অভিযোগ এখনও হাতে পাইনি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ জুন পাণ্ডবেশ্বরের কেন্দ্রা পঞ্চায়েতের কেন্দ্রাকোড়া পাড়ায় বাড়িতে রান্নার ধোঁয়া ঢোকাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের পরিবারের অভিযোগ, এলাকার এক ব্যক্তির স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল লক্ষণ কোড়ার ছেলে ও ভাই। গত ৫ জুন সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী নিজেদের বাড়িতে রান্না করছিলেন। তখন লক্ষণবাবু তাঁর ছেলে বিনয় কোড়া ও ভাই গৌতম কোড়া তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়। অভিযোগ করে, তাদের বাড়িতে ওই রান্নার ধোঁয়া ঢুকছে। তাই অন্যত্র রান্নার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিবাদ করলে লক্ষণবাবু ও তার ভাই-ছেলে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। এই সময় চিৎকার চেঁচামেচিতে পড়শিরা চলে এলে তারা চলে যায়। পরে লক্ষণবাবুদের বিরুদ্ধে পাণ্ডবেশ্বর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ এসে উল্টে ওই বধূর স্বামী-সহ চার জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের আত্মীয়দের দাবি, গ্রেফতারের পরে থানা থেকে আদতে কোনও মামলা দায়ের করেনি। তাঁরা জানান, ৯ জুন তাঁরা দুর্গাপুরে গিয়ে এডিসিপির (সেন্ট্রাল) কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও কোনও লাভ হয়নি।

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে লক্ষণ কোড়া বলেন, “আমরা বলেছিলাম, উনুনটা এমন ভাবে রাখতে যাতে ধোঁয়া না ঢোকে। কিন্তু আমাকে কী ভাবে মারা হয়েছে, সেটা পাড়ার লোক দেখেছে। আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি।” পাণ্ডবেশ্বর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। দু’পক্ষেরই পলাতকদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

fake case pandabeswar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy