Advertisement
E-Paper

যাত্রীদের টিকিট কাটার অনুরোধ কর্তার

ফি বছর যাত্রী বাড়লেও রেলের টিকিট কাটার হার সে ভাবে বাড়ছে না বলে আক্ষেপ করলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার রামকুমার গুপ্ত। বৃহস্পতিবার পূর্ব রেলের কাটোয়া-হাওড়া, কাটোয়া-আজিমগঞ্জ ও রামপুরহাট-আজিমগঞ্জ শাখা পরিদর্শন করেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:০০
জেনারেল ম্যানেজার আসার আগে ঝাঁ চকচকে স্টেশন।

জেনারেল ম্যানেজার আসার আগে ঝাঁ চকচকে স্টেশন।

ফি বছর যাত্রী বাড়লেও রেলের টিকিট কাটার হার সে ভাবে বাড়ছে না বলে আক্ষেপ করলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার রামকুমার গুপ্ত।

বৃহস্পতিবার পূর্ব রেলের কাটোয়া-হাওড়া, কাটোয়া-আজিমগঞ্জ ও রামপুরহাট-আজিমগঞ্জ শাখা পরিদর্শন করেন তিনি। তখনই কাটোয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে বলেন, “এই সব লাইনে ফি বছর ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা বাড়লেও, টিকিট বিক্রি বাড়ছে না।” গত বছর যত টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল, এ বছরও টিকিট বিক্রির হার একই থেকে গিয়েছে বলে জানান তিনি। সে কারণেই যাত্রীদের টিকিট কেটে ট্রেনে যাতায়াত করার অনুরোধও করেন।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার রামপুরহাট থেকে বিশেষ ট্রেনে আজিমগঞ্জ আসেন। সেখানে নসিপুর রেল সেতুর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পরে চলে আসেন খাগড়া, তারপর বাজারসৌ ও সালার হয়ে কাটোয়া স্টেশনে থামে জিএমের বিশেষ ট্রেন। কাটোয়া থেকে নবদ্বীপ যান তিনি। খাগড়া ও বাজারসৌ স্টেশনে অফিস ঘুরে দেখেন রামকুমারবাবু। সালারেও প্রায় ১৫ মিনিট মতো ছিলেন। সেখানে প্লাটফর্ম সংস্কার থেকে শুরু করে যে সব উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে, তার খতিয়ে দেখেন তিনি। সালার থেকে কাটোয়া আসার পথে অজয়ের উপর নতুন সেতু তৈরির কাজও দেখেন। কাটোয়াতে কর্মীদের আবাসন, গার্ডদের বিশ্রামাগারও ঘুরে দেখেন তিনি। কাটোয়া স্টেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, জিএমের সঙ্গে এসেছিলেন পূর্ব রেলের মুখ্য অপারেশনস্ ম্যানেজার। তিনি স্টেশন মাস্টারের ঘরে গিয়ে কী ভাবে ‘সিঙ্গল’ লাইনে ট্রেন যাতায়াত করানো হয় তা খতিয়ে দেখেন। জানা গিয়েছে, বিরক্ত হয়ে রেলকর্মীদের জানিয়েছেন, এই পদ্ধতিতে ট্রেন লেট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ ট্রেনে ওঠার আগে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার রামকুমার গুপ্তা কাটোয়া স্টেশনের প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে জানান, তাঁরা রেল-সুরক্ষার ব্যাপারে যাত্রীদের কাছ থেকে আরও সহযোগিতা আশা করেন। রামকুমারবাবু বলেন, “আমরা রেলের যাত্রীদের সুরক্ষা দিচ্ছি। যাত্রীরা সহযোগিতা করলে সুরক্ষা আরও মজবুত হবে।” এ ছাড়া কাটোয়া থেকে ফরাক্কা পর্যন্ত যে লাইনের বৈদ্যুতীকরণের অনুমোদন হয়ে রয়েছে, প্রথম পর্যায়ে সেখানে কাটোয়া থেকে বাজারসৌ পর্যন্ত কাজ হবে বলেও আলোচনা হয়েছে এ দিন।

এ দিকে, বড়কর্তা আসছেন বলে বিভিন্ন স্টেশন বেশ কয়েকদিন ধরে সাফসুতরো করছিল রেল কর্তৃপক্ষ। স্টেশন ভবনের গায়ে রংয়ের পোচ, রাস্তা ও প্লাটফর্ম সংস্কারের কাজও চলছি। বুধবার বিকেল থেকে বিভিন্ন স্টেশনে অবৈধ স্টলগুলিও তুলে দিয়েছিল আরপিএফ। কিন্তু জেনারেল ম্যানেজার চলে যেতেই হকারদের হাতে ফের দখল হয়ে যায় স্টেশনগুলি।

পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে হাতের কাছে পেয়ে নিত্যযাত্রীরাও একগুচ্ছ দাবি তুলে ধরেন। কাটোয়ার কেশিয়া ও মুর্শিদাবাদের সালার থানার টেঁয়াতে আন্ডারপাসের দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। কেশিয়া গ্রাম কমিটির সম্পাদক কলিম শেখ ও টেঁয়া গ্রামের কালোসোনা বৈরাগ্যরা বলেন, “কেশিয়াতে লেভেল ক্রসিংয়ে গেট পড়ে গেলে বাসিন্দাদের প্রচুর সময় নষ্ট হয়। টেঁয়াতে কোনও লেভেল ক্রসিং নেই। তাই ওই দুই জায়গায় আন্ডারপাসের দাবি জানানো হয়েছে।” হাওড়া-কাটোয়া সাবার্বান প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সকালের দিকে কাটোয়া থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত একজোড়া ইএমইউ ট্রেনের দাবি করা হয়। সব দাবিই খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন কর্তারা।

ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়।

railway ticket katwa azimganj
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy