যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের উপরে পুলিশি তাণ্ডবের প্রতিবাদ জানিয়ে আসানসোলে সভা করল নানা সাংস্কৃতিক ও গণ সংগঠন। শিক্ষাঙ্গণে পুলিশ ডেকে পড়ুয়াদের মারধরের প্রতিবাদে সরব হন সংগঠনগুলির কর্মীরা।
এ দিন বিকেলে আসানসোল পুরসভার সামনে প্রতিবাদ সভায় এবিটিএ নেতা প্রদীপ মণ্ডল, এবিপিটিএ নেতা জয়ন্ত চক্রবর্তীরা যাদবপুরের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবি জানান। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রী মৈত্রেয়ী দাস। এর সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা সুমিত বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, “যাদবপুরের ঘটনা আদতে রাজ্যের সংস্কৃতির উপরে আঘাত এনেছে।”
এ দিন কোনও সভা-সমিতিতে যোগ না দিলেও ঘটনার নিন্দা করেছেন আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি দূরে রয়েছি। ওই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল জানি না। তবে যাই হোক, শিক্ষাঙ্গণে পুলিশ ঢোকানো কাম্য নয়।” তিনি আরও জানান, বছর আটেক আগে যখন তিনি নিজে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন, তখন এক বার এই রকমই পড়ুয়া-বিক্ষোভের জেরে পুলিশ এসেছিল। তিনি বলেন, “সে দিনও আমি পুলিশ আসার প্রতিবাদ করেছিলাম।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রাক্তনী তথা কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক স্বপন দে-র বক্তব্য, “আমি তো ভাবতেই পারছি না, শিক্ষাঙ্গণে পুলিশ ঢুকিয়ে পড়ুয়াদের নির্যাতন করা হয়েছে। উপাচার্য নিজেই ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে পারতেন॥
বর্ধমান শহরেও কাছারি রোড থেকে রানিগঞ্জ বাজার পর্যন্ত মিছিল করে পড়ুয়ারা। ভাতারে ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy