সময়ে রান্নার গ্যাস না মেলার অভিযোগে সরব হলেন গ্রাহকেরা। বুধবার কালনা শহরের একটি গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার অফিসের সামনে ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। গ্রাহকদের দাবি, বুক করার পরে এক-দেড় মাস কেটে গেলেও গ্যাস মিলছে না। বিষয়টি নিয়ে মহকুমাশাসকের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনও।
বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ কালনার গ্রামীণ এলাকার গ্রাহকদের দশ সদস্যের একটি দল মহকুমাশাসকের দফতরে যান। তাঁদের অভিযোগ, শহরের বারুইপাড়া এলাকায় রান্নার গ্যাস সরবরাহকারী ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার এজেন্সি রয়েছে। সেখান থেকেই সিলিন্ডার পান তাঁরা। কিন্তু সম্প্রতি গ্যাস পেতে চরম হয়রানি হচ্ছে। এলাকার সুদীপকুমার মণ্ডল, নন্দলাল কুমার, গোলক গড়াই, বাপন সরকার, প্রশান্ত মণ্ডলদের অভিযোগ, গ্রামেগঞ্জে ওই সংস্থার অজস্র গ্রাহক রয়েছে। গ্যাস না মেলায় মুশকিলে পড়েছেন সবাই। কেউ দেড় মাস, কেউ চল্লিশ দিন আগে এসএমএসে গ্যাস বুক করেছেন। অথচ এখনও সিলিন্ডার হাতে পাননি। তাঁদের দাবি, খোঁজ নিতে গেলেই ওই সংস্থার তরফে সাফ জানানো হচ্ছে জোগান নেই। ফলে গ্যাস মিলতে দেরি হবে। গ্রাহকদের দাবি, ডেলিভারির তারিখ মিললেও গ্যাস মিলছে না। বড় বহরকুলির বাসিন্দা সুদীপবাবুর দাবি, বুক করার দেড় মাস পড়ে কবে গ্যাস মিলবে তা টেলিফোন করে জানতে হচ্ছে। তারপরেও নির্ধারিত দিনেও যে গ্যাস মিলবে তা নিশ্চিত নয়। কারণ সে দিনও চাহিদা অনুযায়ী সংস্থাটি গ্যাস দিচ্ছে না। ফলে তিরিশ, চল্লিশ কিলোমিটার দূর থেকে গ্যাস নিতে এসে অনেককেই হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে। অথচ শহরে সংস্থাটি নিয়ম মেনেই গ্যাস বিলি করছে বলে তাঁদের দাবি।
গ্রাহকদের অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে মহকুমা প্রশাসন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই সংস্থার বিরুদ্ধে আগেও এ ধরণের অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রাহকেরা। মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষ বলেন, “বিষয়টি নিয়ে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার এরিয়া ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন গ্যাসের জোগান স্বাভাবিক রয়েছে। এ কথা শোনার পরেই কালনা শহরের ওই গ্যাস এজেন্সির মালিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে।” মহকুমাশাসক আরও জানান, প্রয়োজনে পুজোর পরে বিষয়টি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত করা হতে পারে। পাশাপাশি যাতে গ্রাহক পরিষেবা বিঘ্নিত না হয় সে কথা জানিয়ে ওই সংস্থাকে একাধিক এজেন্সি খোলার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলেও মহকুমাশাসকের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy