Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

সংগঠন বাড়াতে কর্মীদের পরামর্শ চাইলেন অধীর

জেলায় জেলায় সংগঠন বাড়াতে কর্মীদের কাছে পরামর্শ চাইলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রবিবার সকালে কংগ্রেসের অন্যতম ঘাঁটি কাটোয়া থেকেই সে কাজ শুরু করেন তিনি। সভার শুরুতেই তিনি বলেন, “নেতাদের নির্দেশে এখন থেকে আর কর্মীরা চলবেন না। কর্মীদের নির্দেশে নেতারা চলবেন। সে জন্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে আমি কর্মীদের কথা শুনতে এসেছি। যার মধ্যে দিয়ে আগামী দিনে দল কোন পথে চলবে তার দিশা পাওয়া যাবে।”

কাটোয়ার কর্মিসভায় কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। রবিবার অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।

কাটোয়ার কর্মিসভায় কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। রবিবার অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৪ ০০:৪৮
Share: Save:

জেলায় জেলায় সংগঠন বাড়াতে কর্মীদের কাছে পরামর্শ চাইলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

রবিবার সকালে কংগ্রেসের অন্যতম ঘাঁটি কাটোয়া থেকেই সে কাজ শুরু করেন তিনি। সভার শুরুতেই তিনি বলেন, “নেতাদের নির্দেশে এখন থেকে আর কর্মীরা চলবেন না। কর্মীদের নির্দেশে নেতারা চলবেন। সে জন্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে আমি কর্মীদের কথা শুনতে এসেছি। যার মধ্যে দিয়ে আগামী দিনে দল কোন পথে চলবে তার দিশা পাওয়া যাবে।”

কাটোয়ার কংগ্রেসের প্রবীণ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রদেশ সভাপতি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই সভা ডাকতে বলেছিলেন। নির্বাচনে পরাজয়ের পরে এমন সভা প্রদেশ নেতৃত্ব আগে করেনি। পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে সভাপতি সংগঠন বাড়ানোর কথা চিন্তা করছেন। এতে আমাদের মতো তৃণমূল স্তরের কর্মীরা উৎসাহিত হবেন।”

সভায় বিভিন্ন ব্লকের নেতা-কর্মীরা বেশ কিছু দাবি জানান, যেমন, মানুষের নানা সমস্যা নিয়ে দলকে আন্দোলনমুখী করতে হবে। তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে হবে। নিচুতলার কর্মীরা প্রহৃত হলে বা কোনও সমস্যা হলে উঁচুতলার নেতাদের এলাকায় ছুটে আসতে হবে। তাতে দলের কর্মীদের মনোবল বাড়বে। এছাড়া পারিবারিক ঐতিহ্য নয়, কাজের ছেলেকে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া, দলের প্রচার আরও ভাল ভাবে করা, প্রযুক্তি ব্যবহার করারও দাবি তোলেন তাঁরা। মেমারির কংগ্রেস নেতা আব্দুল হালিম বলেন, “সন্দেশখালিতে বিজেপি কর্মীরা আহত হলেন। আর দিল্লি থেকে বিজেপির নেতারা ছুটে এলেন। এতে কর্মীদের মনোবল বাড়ে। আর আমরা মার খেলেও নেতাদের দেখা পাই না। এ দিকে নজর দেওয়া দরকার।” বর্ধমান ১ ব্লক সভাপতি জগতারণ মণ্ডল অভিযোগ করেন, “প্রদেশ ও জেলা স্তরে সমস্যা জানানো হলেও সমাধান হয় না।” সব শুনে প্রদেশ সভাপতি বলেন, “অত্যাচারিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভালবাসি। যে কোনও সমস্যায় কর্মীদের পাশে আমাকে পাবেন।”

সন্ত্রাসের প্রসঙ্গে তিনি নিজের অভিজ্ঞতাও কর্মীদের কাছে তুলে ধরেন। তাঁর কথায়, “মন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমার নামেও দু’টি খুনের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়। সেখানে সাধারণ কর্মীদের অবস্থা ভালই বুঝি। এ সব পেরিয়েই সংগঠন বাড়ানোর কাজে এগিয়ে যেতে হবে।” পাশাপাশি কর্মীদের তিনি পরামর্শ দেন, “স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিত করে আন্দোলন করুন। মানুষের সমস্যা নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে স্মারকলিপি দিন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE