Advertisement
E-Paper

হাসপাতালে সাংবাদিক নিগ্রহের শুনানি শুরু

বছর দু’য়েক আগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিক ও আলোকচিত্রীদের মারধরের ঘটনায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হল শুক্রবার। জেলা জজ পবন কুমার মণ্ডলের এজলাসে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। সাক্ষ্য দেন মূল অভিযোগকারিণী সুজাতা মেহেরা ও শরদিন্দু ঘোষ। ২০১২ সালের ২৮ মার্চ তাঁরা হাসপাতাল চত্বরে জুনিয়র ডাক্তারদের হাতে প্রহৃত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৫২

বছর দু’য়েক আগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিক ও আলোকচিত্রীদের মারধরের ঘটনায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হল শুক্রবার। জেলা জজ পবন কুমার মণ্ডলের এজলাসে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। সাক্ষ্য দেন মূল অভিযোগকারিণী সুজাতা মেহেরা ও শরদিন্দু ঘোষ। ২০১২ সালের ২৮ মার্চ তাঁরা হাসপাতাল চত্বরে জুনিয়র ডাক্তারদের হাতে প্রহৃত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

ওই দিন গলসি থানার বাধগাছা গ্রামের রেশমি খাতুন নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। তার পর মৃত কিশোরীর আত্মীয়দের সঙ্গে হাসপাতাল চত্বরেই জুনিয়র ডাক্তারদের ধস্তাধস্তি হয়। প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারেরা হাসপাতাল চত্বরে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন। তার ছবি তুলতে গেলে সংবাদমাধ্যমের কিছু প্রতিনিধিকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর অভিযোগ ওঠে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের রাধারানি ওয়ার্ডের সামনে আক্রান্ত হন সাংবাদিকেরা। লাঠি, রডের ঘায়ে আহত হন পাঁচ জন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের চোট ছিল গুরুতর। হাসপাতালেরই জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে দু’জনকে ভর্তি করানো হয় একটি নার্সিংহোমে। ওই রাতেই রাতে বর্ধমানের সাংবাদিকেরা গণস্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র পুলিশের কাছে জমা দেন। তাতে দু’জন জুনিয়র ডাক্তারের নাম ছিল। পরের দিন নিরাপত্তার দাবিতে হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তবে ওই ডাক্তারদের কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। উদ্ধার হয়নি ওই ক্যামেরা ও জিনিসপত্রও।

এ দিন আদালতে সরকারি আইনজীবী অজয় দে বলেন, “ওই ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারেরা যেভাবে সাংবাদিকদের মারধর করেছিলেন তা নিন্দনীয়। আমাদের কাছে সমস্ত নথি ও প্রমান রয়েছে। সবই আদালতে পেশ করা হবে।”

এ দিন অভিযুক্তের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন শৌভিক বাগ ও অভিনব সিংহ নামে দুই জুনিয়র ডাক্তার। দুই সাক্ষী তাঁদের দেখিয়ে দাবি করেন, “এদের সঙ্গে সে দিন আরও অনেকে ছিল। আদালতের কাছে অনুরোধ বাকি অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে দ্রুত সাজা দেওয়া হোক।”

burdwan medical college assault of journalists and photographers case hearing
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy