জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। — ফাইল চিত্র।
চিঠিটি এখনও আদালতে পেশ করেনি ইডি। তবে প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (বালু) লেখা একটি চিঠির সূত্রে রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলেছে বলে মঙ্গলবার সিবিআই বিশেষ আদালতে দাবি করেছে ইডি। এই মামলায় জেলে থাকা বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য ও বিশ্বজিৎ দাসকেও এ দিনই বিচার ভবনের সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাঁদের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন।
ইডি-র দাবি, রেশন কেলেঙ্কারিতে জড়িত অভিযোগে ধৃত জ্যোতিপ্রিয়ের লেখা চিঠিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাম ও তথ্য রয়েছে। ওই চিঠির সূত্রে তদন্ত এখন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় রয়েছে বলে তারা আদালতে দাবি করেছে।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় শঙ্করের আইনজীবী এ দিন বলেন, ‘‘জ্যোতিপ্রিয়র একটি চিঠির সূত্রেই শঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু ওই চিঠি আদালতে পেশ করছে না ইডি। পাশাপাশি অভিযুক্তদের আইনজীবীদের ওই নথি দেওয়া হচ্ছে না।” প্রসঙ্গত, এসএসকেএম হাসপাতালে ডিসেম্বর মাসে চিকিৎসাধীন থাকার সময়ে জ্যোতিপ্রিয় তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনীর হাতে একটি চিঠি দেন বলে ইডি সূত্রের খবর। হাসপাতালে পাহারারত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা ওই চিঠি বাজেয়াপ্ত করেন।
এ দিন আদালতে ইডি-র আইনজীবীদের দাবি, “ওই চিঠিতে একাধিক প্রভাবশালীর নাম রয়েছে। এবং রেশন বণ্টন দুর্নীতির কালো টাকা কী ভাবে কোথায় পাচার ও আদায় করতে হবে, সেই বিষয়ে জ্যোতিপ্রিয়ের লেখা পরামর্শ রয়েছে। মামলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি ওই চিঠি। তা কোনও ভাবেই এই মুহূর্তে প্রকাশ করা যাবে না। সে-ক্ষেত্রে তদন্ত মুখ থুবড়ে পড়বে।’’ শঙ্কর অসুস্থ। এ দিন জেলে বসেই শুনানিতে ভার্চুয়ালি তিনি অংশগ্রহণ করেন। বিশ্বজিৎ দাসের তরফে তাঁর আইনজীবীরা এ দিন জামিনের আবেদন করেন। জামিনের বিরোধিতা করে ইডি-র আইনজীবীরা বলেন, ‘‘বিশ্বজিৎ দাসের মুদ্রা বিনিময় সংস্থা ও হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে রেশন বণ্টন দুর্নীতির সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তদন্তে পর পর নতুন তথ্য উঠে আসছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy