—ফাইল চিত্র।
বসিরহাটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার সকালে সেখানে আলাদা ভাবে রওনা হয়েছিল বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপির প্রতিনিধি দল। কিন্তু বসিরহাটে ঢোকার আগে তিন পক্ষকেই আটকে দেয় পুলিশ। তিন ক্ষেত্রেই বিরোধী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পুলিশের বচসা চলে দীর্ঘ ক্ষণ।
বাম প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, তন্ময় ভট্টাচার্য। অশোকনগরের কাছে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। কেন যেতে দেওয়া হবে না, এ নিয়ে বাম প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। পরে তারা বারাসতে ফিরে যান। অন্য দিকে, বারাসতের কাছেই আটকে দেওয়া হয় অধীর চৌধুরী ও প্রদীপ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলটিকে। অধীর চৌধুরী জানান, শান্তি ফেরানোর প্রক্রিয়ায় প্রশাসনকে সাহায্য করতেই তাঁরা যাচ্ছিলেন। বসিরহাট, বাদুড়িয়া, স্বরূপনগরে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা স্বাভাবিক করাই তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি ঘোরালো হতে পারে এই আশঙ্কাতেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শান্ত বসিরহাট হঠাত্ তপ্ত দুপুরে, পুড়ল তৃণমূলের পার্টি অফিসও
পুলিশ দাবি, সরকারি ভাবেই সমস্ত দলকে আর্জি জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে কেউ যেন বসিরহাটে না যান। বসিরহাট, বাদুড়িয়া, স্বরূপনগরে ১৪৪ ধারাও জারি আছে। ফলে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ওই সব এলাকায় না যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
এ দিন বসিরহাটে নতুন করে কোনও গণ্ডগোল ছড়ায়নি। তবে পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। এলাকায় আধাসেনা ও পুলিশের টহল চলছে। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারাও। তবে দোকানপাট সবই বন্ধ রয়েছে।
গতকাল, বৃহস্পতিবারের ছবিটাও সকালের দিকে ছিল বেশ শান্ত। কিন্তু বেলা গড়াতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। প্রশাসনের বক্তব্য, উত্তেজনা থামলেও ক্ষোভ, বিক্ষোভের পরিস্থিতি এখনও ভিতরে ভিতরে রয়েছে। বাইরে থেকে কারও না আসাটাই এই মুহূর্তে সঙ্গত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy