—প্রতীকী ছবি।
ভোটে জিতেছেন তিনি। জয়ীর শংসাপত্রও পেয়েছেন ভাঙড়ের ভোগালি-১ পঞ্চায়েতের আইএসএফ প্রার্থী বসিরুদ্দিন সর্দার। অথচ পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে বিডিওর তলব পেয়েছেন তাঁর কাছে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী! এই অভিযোগ নিয়েই সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসের দ্বারস্থ হয়েছেন বসিরুদ্দিন। তাঁর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, আজ, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে।
বস্তুত, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীদের উপরে পুলিশ-প্রশাসনের প্রকারান্তরে চাপসৃষ্টির অভিযোগ উঠেছিল। বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রেও সেই অভিযোগ উঠেছে। নদিয়ার হবিবপুরের ক্ষেত্রেও আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। হবিবপুরের পঞ্চায়েতের শাসক দলের বিদায়ী প্রধান এ বার নির্দল হিসাবে জিতেছেন। রবিবার রাতে তিনি আইনজীবীর বাড়ি থেকে ফেরার সময়ে পুলিশ আটক করে এবং পরে তাঁকে পুরনো একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এ দিন তাঁর আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানান, বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, পুলিশি নিরাপত্তায় বিদায়ী প্রধানকে বোর্ড গঠনের বৈঠকে যোগদান করতে দিতে হবে।
তবে বসিরুদ্দিনের ক্ষেত্রে বিডিওর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফিরদৌস জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী বসিরুদ্দিন জিতেছেন। বিডিও তাঁকে জয়ীর শংসাপত্রও দিয়েছেন। অথচ রাজ্য পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থীদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে বসিরুদ্দিনের বদলে পরাজিত প্রার্থী আখের আলি মোল্লার নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোর্ড গঠনের বৈঠকেও ডাকা হয়েছে আখের আলিকে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বলছেন, রাজ্যের বিডিওদের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ ভাবে বেআইনি কাজের যে অভিযোগ উঠছে, তাতে কার্যত প্রশাসনের কলঙ্কবৃদ্ধি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বেআইনি কাজের জন্য উলুবেড়িয়ার ১ ব্লকের বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে এবং এসডিও শমীককুমার ঘোষের বিরুদ্ধে আদালত নিযুক্ত অনুসন্ধান কমিটি সাসপেনশনের সুপারিশ করেছিল। সাসপেন্ডের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। এ দিন আইএসএফ প্রার্থীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলছেন, ‘‘প্রশাসনের কলঙ্কজনক অধ্যায় চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy