Advertisement
E-Paper

দুই মামলায় ছাড় বেচারামদের

সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের সময় বাম সরকারের করা দু’টি ফৌজদারি মামলা থেকে ছাড় পেলেন হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না, সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য-সহ মোট ১২ জন অভিযুক্ত।

অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য ও গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:০৯
বারাসতের আদালতে বেচারাম মান্না। নিজস্ব চিত্র

বারাসতের আদালতে বেচারাম মান্না। নিজস্ব চিত্র

সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের সময় বাম সরকারের করা দু’টি ফৌজদারি মামলা থেকে ছাড় পেলেন হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না, সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য-সহ মোট ১২ জন অভিযুক্ত।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো অস্থায়ী বিশেষ আদালত গড়া হয়েছে বারাসতে। সেখানেই রাজ্যের সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে থাকা যাবতীয় ফৌজদারি মামলা ওঠার কথা। শনিবার ওই আদালতে সিঙ্গুর আন্দোলন পর্বের চারটি ফৌজদারি মামলা ওঠে। শুনানির সময় সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু দু’টি মামলা প্রত্যাহারের আর্জি জানান। বিচারক তা মঞ্জুর করেন। বাকি দু’টি মামলাতেও অভিযুক্ত বেচারাম, রবীন্দ্রনাথ-সহ কয়েক জন। কিন্তু সেই মামলা দু’টিতে বাকি অভিযুক্তরা গরহাজির থাকায় ১৯ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারক। শুনানিতে হাজির না-হওয়ায় সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি, তৃণমূলের সুলেখা মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।

মামলার সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু বলেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২১ ধারায় সরকার পক্ষের থেকে মামলা দু’টি প্রত্যাহার করে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। বিচারক তা মঞ্জুর করেন।’’

বাম আমলে সিঙ্গুরে কৃষিজমি রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত চাষি এবং তৎকালীন বিরোধী তৃণমূল নেতা বেচারাম মান্না, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, স্নেহাশিস চক্রবর্তী-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সরকারি কাজে বাধা দান-সহ বহু মামলা হয়েছিল। রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে বর্তমান শাসক দল সেই সব মামলা তোলার আশ্বাস দিয়েছিল। এত দিনে কিছু মামলা প্রত্যাহার করা হলেও সব হয়নি। প্রত্যাহার না-হওয়া সেই সব মামলার শুনানিতেই এখন ডাক পড়ছে বেচারাম-সহ সিঙ্গুরের অভিযুক্তদের।

এ দিন বেচারাম-সহ সিঙ্গুরের বহু চাষি বাস ভাড়া করে বারাসত আদালতে শুনানিতে যান। দু’টি মামলা থেকে ছাড় পেয়ে বেচারাম বলেন, ‘‘তৎকালীন বাম সরকার অনেক মিথ্যা মামলা করে গিয়েছিল। এ দিন দু’টি মামলায় আমরা ছাড় পাওয়ায় তা প্রমাণ হল। বামেরা সিঙ্গুরের চাষিদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।’’ সুলেখাদেবী স্কুলে পড়ান। গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘স্কুলে পরীক্ষা চলছে বলে যেতে পারিনি। গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। পরের শুনানিতে যাব।’’

দু’টি মামলায় বেচারামদের ছাড় পাওয়া নিয়ে সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘রায় নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে, সেই সময়ে বেচারামবাবুরা কী করেছিলেন, তা সবাই জানেন।’’

Criminal Case TMC Singur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy