Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Mid Day Meal

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সফরের আগেই মিড ডে মিল নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশ শিক্ষা দফতরের

শনিবার শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের নেতৃত্বে মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য ও জেলা স্তরের আধিকারিকদের এক ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের বিরুদ্ধে ওঠা মিড ডে মিল সংক্রান্ত অভিযোগগুলি নিয়ে আলোচনা হয়।

শনিবার শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের নেতৃত্বে মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য ও জেলা স্তরের আধিকারিকদের এক ভার্চুয়াল বৈঠক হয়।

শনিবার শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের নেতৃত্বে মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য ও জেলা স্তরের আধিকারিকদের এক ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:১৮
Share: Save:

আগামী সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদল। তার আগেই বৈঠক করে শিক্ষা দফতর থেকে মিড ডে মিল কেন্দ্রগুলিকে একগুচ্ছ নির্দেশ পাঠান হল। শনিবার শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের নেতৃত্বে মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য ও জেলা স্তরের আধিকারিকদের এক ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের বিরুদ্ধে ওঠা মিড ডে মিল সংক্রান্ত অভিযোগগুলি নিয়ে আলোচনা হয়। সঙ্গে কোন কোন পদক্ষেপ মিড ডে মিল কেন্দ্রগুলিতে করা উচিত, তা নিয়েও আলোকপাত করা হয়। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল যাতে রাজ্যের মিড ডে মিলের পরিস্থিতি নিয়ে কোনও প্রশ্ন না তুলতে পারে, সেই বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে রাজ্যে সব মিড ডে মিল কেন্দ্রে দশটি সিদ্ধান্ত কার্যকর করার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়ার ব্যাপারে একমত হন শিক্ষা আধিকারিকরা। কেন্দ্রের তরফে প্রায়শই অভিযোগ ওঠে, বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ খরচ করা হলেও, তাতে রাজ্য সরকারের ভূমিকাই প্রকাশ্যে তুলে ধরা হয়। এ ক্ষেত্রে সেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের লোগোর বদলে রাজ্য সরকারের লোগো ব্যবহার করা হয়। এ বার অন্তত তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছে না শিক্ষা দফতর। তাই ঠিক হয়েছে, আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের মিড ডে মিল প্রকল্প ‘পিএম পোষণ’ লোগো প্রকাশ্যে লাগানো হবে। মিড ডে মিলের খাদ্যতালিকা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলিকে প্রকাশ্যে জানাতে হবে। মিড ডে মিল কেন্দ্রে রান্নার সময় মাথায় টুপি ও অ্যাপ্রন পরতে হবে। রান্নায় ব্যবহৃত বাসনপত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ধুতে হবে। কোনও ভাবেই ভাঙা বাসনপত্র ব্যবহার করা যাবে না।

মিড ডে মিলের খরচ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় ব্লকের অতিরিক্ত হিসাবরক্ষক, ব্লক পর্যায়ের ক্লার্ককে দিয়ে হিসাব করাতে হবে। এই কাজ করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্কুলের প্রধানশিক্ষককে। মিড মে মিলের খাবারের মান পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি হাত স্যানিটাইজেশনের বন্দোবস্ত রাখতে হবে। স্কুলে নিয়মিত স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করতে হবে। যদি অন্য কোনও জায়গা থেকে মিড ডে মিলের খাবার আনা হয়, তা হলে সেই খাবার যাতে সব দিক থেকে সুরক্ষিত থাকে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা দফতরের এমন নির্দেশিকা প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘সরকার বিশেষ পরিস্থিতিতে এ রকম নির্দেশ মাঝেমাঝে দেয়। সেই সময়টা কেটে গেলে আর মাথায় রাখে না। সেন্ট্রাল থেকে টিম আসবে বলে এ সব হচ্ছে। তার পর যথারীতি পুনর্মূষিক ভবঃ।’’

পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, ‘‘মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে লাভ নেই। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার যখন মিড ডে মিলের টাকা বন্ধ রেখেছিল, তখন রাজ্য সরকার নিজের উদ্যোগে স্কুলে স্কুলে মিড ডে মিলের খাবার দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে আসছে, আসুক। তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদের হকের টাকা রাজ্যকে দিতে হবে। কারণ রাজ্য সরকার তার দায়িত্ব পালন করেই কেন্দ্রের কাছে নিজের দাবি জানাচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mid Day Meal Nabanna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE