ইডি-র দফতরে হাজিরা দেওয়ার পথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি।
দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে হাজির হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকাল ১১টার কিছু আগে ইডি-র দফতরে হাজির হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তবে তার আগে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান। দিল্লিতে তাঁকে তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ইডি-র বিরুদ্ধে আবেদনও করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা গৃহীত না হওয়ায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সরাসরি চলে আসেন ইডি-র দফতরে।
সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ইডি-র দফতরে যাওয়ার কথা ছিল অভিষেকের। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে পৌঁছতে পারেননি। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্ট তাঁর মামলাটি গ্রহণ করে কি না তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, তাদের হাতে অনেক মামলা থাকায় তারা অভিষেকের মামলাটি গ্রহণ করতে পারছে না। এর পরই ইডি-র দফতরের উদ্দেশে রওনা হন অভিষেক। সকাল ১১টা বাজার পাঁচ মিনিট আগে তাঁর গাড়ি প্রবেশ করে ইডি-র দফতরে। অভিষেককে গাড়ি থেকে নেমে সোজা ঢুকতে দেখা যায় ইডি-র দফতরে।
কিছু ক্ষণের মধ্যেই অভিষেকের জেরা শুরু করেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, ইডি-র দফতরের তিন তলার একটি ঘরে তৃণমূল সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কাজ চলছে। কয়লা পাচার-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল অভিষেককে। ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, কয়লা-কাণ্ডে বেশ কিছু নতুন তথ্যপ্রমাণও হাতে এসেছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। দু’টি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নজর রয়েছে তাদের। অভিষেককে সে ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। ইডি-র তলবে সাড়া দিতে রবিবারই সস্ত্রীক দিল্লিতে পৌঁছন অভিষেক। দিল্লি রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরেই অভিষেক জানিয়ে যান, তিনি প্রয়োজনে ইডি-র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন।
কয়লা কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সস্ত্রীক অভিষেককে দিল্লিতে ডেকে পাঠানোর বিরুদ্ধে এর আগে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু গত ১১ মার্চ অভিষেকের সেই আর্জি দিল্লি হাই কোর্টে খারিজ হয়ে যায়। দিল্লিতে যাওয়ার আগে হাই কোর্টের সেই সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক। তিনি বলেছিলেন, ১০ মার্চ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হল। আর তার পরের দিনই অর্থাৎ ১১ মার্চ হাই কোর্ট আর্জি খারিজ করল। অভিষেকের কথায়, পর পর এই দু’টি ঘটনা কাকতালীয় হতে পারে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy