Advertisement
E-Paper

ক্রিকেটারকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

পুরভোটের আঁচ পড়ল ক্রিকেটেও! ভোটের পরদিন একদল যুবকের হাতে মার খেলেন সিএবি-র অনূর্ধ্ব উনিশ বাংলা দলের এক প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটার শুভ্রজিৎ দাস। রবিবার বিকেলে বীরভূমের সাঁইথিয়ার ওই ঘটনায় আহত তরুণকে সাঁইথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর ডান পায়ে গুরুতর চোট রয়েছে। যে চার যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তৃণমূলের কর্মী বলে দাবি শুভ্রজিতের পরিবারের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০৪
সাঁইথিয়া হাসপাতালে শুভ্রজিত্ দাস। ছবি: অনির্বাণ সেন।

সাঁইথিয়া হাসপাতালে শুভ্রজিত্ দাস। ছবি: অনির্বাণ সেন।

পুরভোটের আঁচ পড়ল ক্রিকেটেও! ভোটের পরদিন একদল যুবকের হাতে মার খেলেন সিএবি-র অনূর্ধ্ব উনিশ বাংলা দলের এক প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটার শুভ্রজিৎ দাস। রবিবার বিকেলে বীরভূমের সাঁইথিয়ার ওই ঘটনায় আহত তরুণকে সাঁইথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর ডান পায়ে গুরুতর চোট রয়েছে। যে চার যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তৃণমূলের কর্মী বলে দাবি শুভ্রজিতের পরিবারের।

সিএবি কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে এ দিন বীরভূম জেলা ক্রীড়া সংস্থায় ঘটনার বিষয়ে খোঁজখবর করেন। বিশ্বরূপবাবু বলেন, ‘‘ঘটনাটা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা রবিবার সিএবি-র দুই প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি। প্রয়োজন হলে তাঁরা ওখানকার এসপি-র সঙ্গে দেখা করবেন।’’

সিএবি ক্রিকেট লিগের প্রথম ডিভিশনের ঐক্য সম্মিলনী ক্লাবের ক্রিকেটার শুভ্রজিৎ ভোট দিতে দিন দুয়েক আগে এসেছিলেন সাঁইথিয়ায় নিজের বাড়ি নীহারপট্টিতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ক্রিকেটারের কাকা এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত। ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরে শনিবার বিকেলে ও রবিবার সকালে ওই বিজেপি কর্মীর সঙ্গে এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বচসা বাধে। বিকেলে তার জেরে দু’পক্ষের হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। অভিযোগ, এর কিছু পরেই সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে শুভ্রজিতের উপর চড়াও হয় এলাকার তৃণমূল কর্মী সুখেন দাস ও তাঁর কিছু অনুগামী।

শুভ্রজিৎ এ দিন হাসপাতালে শুয়ে বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে, আমাদের এলাকার দুর্গা মন্দিরের সামনে সুখেন, তোতন মাহারা-সহ অনেকে আমাকে ঘিরে ধরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা মোবাইল কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছড়ে ভেঙে দেয়। পাথর দিয়ে আমার ডান হাঁটুর নীচে মারতে থাকে। কোনও ভাবে ছুটে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছি।’’ শুভ্রজিতের বাবা সাধনকুমার দাস সাঁইথিয়া থানায় সুখেন, তোতন-সহ চার জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু, ভর সন্ধ্যায় এ ভাবে তাঁর ছেলেকে মারধরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন সাধনবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘আমার ছেলের তো কোনও দোষ নেই। ও শুধু ভোট দিতে এসেছিল। কেন ওরা ওকে মারল বুঝতে পারছি না। ডান পায়ে আঘাত লেগেছে।’’

অভিযুক্তদের কাউকেই পুলিশ ধরেনি। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কর্মী সুখেনের পাল্টা দাবি, ‘‘ভোটের আগে থেকেই আমাদের নানা ভাবেই হুমকি দিচ্ছিল বিজেপি। এ দিন আগে সাধন দাস, তাঁর দুই ভাই এবং কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক আমার বাড়িতে চড়াও হয়। স্ত্রী ও আমাকে মারধর করে। এলাকার লোকজন এসে আমাদের বাঁচায়।’’ শুভ্রজিতের বাবা-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সুখেনও। সাধনবাবু এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারকে ফোন করা হলে, তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএসেরও কোনও জবাব দেননি।

Bengal cricketer subhrajit das tmc municipal election CAB Hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy