চিকিৎসকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিপর্যস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, এ বার তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী শুক্রবারের মধ্যে রাজ্য সরকারকে সবিস্তার রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত। সেই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই সংকট কাটিয়ে বেরিয়ে আসার পরামর্শও দিয়েছে।
রাজ্য জুড়ে চিকিৎসকদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন মার্কিন নিবাসী কুণাল সাহা। তিনিও পেশায় চিকিৎসক। চিকিৎসকদের এই ‘কর্মবিরতি’কে বেআইনি ঘোষিত করার আর্জি জানান তিনি। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সরাসরি আদালতের হস্তক্ষেপের দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলেও আলাদা করে অভিযোগ করেন তিনি। তাতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের লাইসেন্স বাতিল করার দাবি তোলেন।
শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিবি নায়ার রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি শুরু হলে, চিকিৎসকদের উপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং স্বাস্থ্য পরিষেবায় যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, তা জানতে চাওয়া হয়। জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, বেশ কিছু এফআইআর দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েক জনকে। শুরু হয়েছে তদন্ত। এর পরই আগামী শুক্রবারের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে বলে আদালত। তার পর ফের মামলার শুনানি হবে।