অখিল গিরি। — ফাইল চিত্র।
গ্রেফতার হতে পারেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন জাতীয় তফসিলি কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। তিনি জানান, অখিলের বিরুদ্ধে ১০০টিরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে জাতীয় তফসিলি কমিশনে। যার প্রেক্ষিতে মন্ত্রীকে নোটিস পাঠাবে কমিশন। অখিলের পক্ষে সদুত্তর না এলে তৃণমূল বিধায়ক গ্রেফতারও হতে পারেন।
সোমবার মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন জাতীয় তফসিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘যা খবর পেলাম, অখিল গিরির বিরুদ্ধে কমিশনে শ’য়ের উপরে অভিযোগ জমা পড়েছে। আমি সেগুলো মনিটরিং করছি। কোনও কোনও অভিযোগ আইনের আওতায় এনে রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠানো যায় কি না, তা দেখা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রথমে নোটিস পাঠাব। নোটিসের ঠিকঠাক জবাব না পেলে সমন। সমনের পরেও যদি না আসেন তবে ওয়ারেন্ট পাঠাব। ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে আনা হবে।’’
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই আবহে তৃণমূলের তরফে ক্ষমা চেয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, অখিল অন্যায় করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘অখিল অন্যায় করেছেন। আমি ধিক্কার জানাচ্ছি। বিধায়কের হয়ে ক্ষমা চাইছি। দুঃখপ্রকাশ করছি।’’ অখিল নিজেও দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে ‘ক্রোধের বশে’ কিছু কথা বলে ফেলেছেন। রাষ্ট্রপতিকে কোনও ভাবে অপমান করতে চাননি।
যদিও এর পরেও এই বিষয়টি নিয়ে থামতে নারাজ বিজেপি। অখিলের মন্তব্য নিয়ে বিধানসভার আসন্ন শীতকালীন অধিবেশন সরগরম করতে চাইছে বিজেপি পরিষদীয় দল। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার অখিলের বিরুদ্ধে জোড়া মামলার শুনানি হবে হাই কোর্টে।
এর মধ্যে মঙ্গলবার গোপীবল্লভপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘অখিল গিরির জেলে থাকা উচিত। এসসি-এসটি কমিশনের যা কাজ, তারা করছে। এখনও পর্যন্ত এফআইআর হয়েছে কি না, প্রশাসন আমাদের জানায়নি। তবে কারামন্ত্রীর কারাগারে থাকা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy