Advertisement
E-Paper

আইনি যুদ্ধের রসদ সাজাচ্ছে সব পক্ষই

হলফনামা দিয়ে বিরোধীরা বলতে চায়, ৩৪% আসনে তো ভোট হয়ইনি। যেখানে ভোট হয়েছে, সেখানেও আসলে নির্বাচনের নামে ‘প্রহসন’ হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৮ ০২:২৯
গ্রাফিক::শৌভিক দেবনখা

গ্রাফিক::শৌভিক দেবনখা

নির্বাচনী লড়াই শেষ। আইনি লড়াই এখনও বাকি!

পঞ্চায়েত ভোট এবং গণনা ঘিরে রাজ্যের যে প্রান্তে যত হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তার সবিস্তার তথ্য সংগ্রহে নেমেছে সব বিরোধী দল। জেলা নেতৃত্বের কাছে এই বিষয়ে পরিসংখ্যানও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৩৪% আসন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি আছে ৩ জুলাই। সেখানেই হলফনামা দিয়ে বিরোধীরা বলতে চায়, ৩৪% আসনে তো ভোট হয়ইনি। যেখানে ভোট হয়েছে, সেখানেও আসলে নির্বাচনের নামে ‘প্রহসন’ হয়েছে।

বিরোধীদের পাশাপাশি প্রস্তুত থাকছে শাসক পক্ষও। তাদের বক্তব্য, নির্বাচনে হিংসার বিষয়ে সব চেয়ে ‘নির্ভরযোগ্য’ তথ্য দেওয়ার এক্তিয়ার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। রাজ্য সরকার আদালতে সওয়াল করার সময়ে কমিশনের রিপোর্টের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। কমিশন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জেলার পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট জমা পড়েছে। আদালতে প্রয়োজনে কাজে লাগতে পারে বলে সে সবই সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে। আর তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘নির্বাচনের সময়ে হিংসাই বেশি প্রাণহানি হয়েছে আমাদেরই। বিরোধীরা জনতার আদালতে প্রত্যাখ্যাত হয়ে যেমন খুশি দাবি করতে পারে। কিন্তু তারাই মামলা আর হামলা করে ভোট বানচালের চেষ্টা করেছে!’’

পঞ্চায়েত ভোটে এ বার তৃণমূলের নিকটতম প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। তারা পঞ্চায়েত নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে। সেই আবেদনের শুনানি এবং সুপ্রিম কোর্টের মামলার জন্য তারা তথ্য জোগাড় করছে। বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরে শুক্রবার তিনি প্রথম বার রাজ্যে আসছেন অনুব্রত মণ্ডলের জেলায়! তবে বিশ্বভারতীর সরকারি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সে দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কোনও সময় এখনও পর্যন্ত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব পাননি। দলের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা বা পরিস্থিতি জানানোর সুযোগ মিলবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়। আমাদের এখন আদালতের লড়াইয়ের জন্যই প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।’’

সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক শুরু হচ্ছে আজ, বুধবার থেকে। সেখানে পঞ্চায়েত ভোটের প্রাথমিক পর্যালোচনা হবে। তবে তার আগেই আলিমুদ্দিন জেলাগুলিকে নির্দেশ পাঠিয়েছে এলাকাভিত্তিক হিংসা ও গা-জোয়ারির তথ্য পাঠানোর জন্য। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বও একই মর্মে আবেদন জমা দিতে চান সুপ্রিম কোর্টে। মামলার জন্য পি়ডিএস-ও বিশদ তথ্য সাজাচ্ছে।

West Bengal Panchayat Election 2018 CPM পঞ্চায়েত নির্বাচন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy