পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে হিংসার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে এ বার বিদ্বজ্জনেদের মধ্যে জোট বাঁধার প্রক্রিয়া শুরু হল। তার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে বুধবার লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে জড়ো হয়ে রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, কৌশিক সেন, মন্দাক্রান্তা সেন, বাদশা মৈত্রেরা। ছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্যও।
রাজ্যে ক্ষমতার ‘পরিবর্তন’ আনার পরে শাসক দল এখন যেন তেন প্রকারেন ক্ষমতা দখলেই মরিয়া হয়ে উঠেছে, এই অভিযোগই করেছেন সকলে। রুদ্রপ্রসাদ বলেছেন, ‘‘মেরুদণ্ড আরও শক্ত করে আরও প্রতিবাদ তৈরি হওয়া দরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নীরবতাও দুশ্চিন্তার।’’ প্রতিবাদের কলম ধরায় কবি শঙ্খ ঘোষকে যে ভাবে অনুব্রত মণ্ডলের মতো তৃণমূল নেতারা আক্রমণ করেছেন, শাসক দল বা প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে তা বন্ধের উদ্যোগ না দেখে উদ্বিগ্ন রুদ্রবাবুরা। তবে শাসকের তাণ্ডবের প্রতিবাদ জানাতে গিয়েও কৌশিক বলেছেন, তিনি মনে করেন বিজেপি তৃণমূলের চেয়েও বিপজ্জনক। আবার বিকাশবাবু, বাদশাদের মতে, বিজেপি ও তৃণমূল, দুটোই বিপদ। রুদ্রপ্রসাদ দাবি করেছেন, সঙ্ঘ-বিজেপির বিপজ্জনক রাজনীতির মোকাবিলায় বামেদের আরও বেশি করে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘মরতে তৈরি না থাকলে আবার রাজনীতি হয়!’’ সোমনাথবাবু অবশ্য এই প্রসঙ্গে যাননি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পরিকল্পনামাফিক প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy